সাবেক বিশ্বসুন্দরীকে ট্রাম্পের ‘আপত্তিকর ভাষায় আক্রমণ’

সাবেক এক মিস ইউনিভার্স অ্যালিসিয়া মাচাদোকে টুইটারে ‘আপত্তিকর ভাষা’য় আক্রমণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বিবিসি বলছে, ১৯৯৬ সালে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন ভেনেজুয়েলায় জন্ম নেয়া অ্যালিসিয়া। শুক্রবার এক টুইটে ট্রাম্প সাবেক এই ‘মিস ইউনিভার্স’ এর অতীত ইতিহাস ও ‘সেক্স টেপ’ খতিয়ে দেখতে আমেরিকানদের প্রতি আহ্বান জানান। লাতিন এ সুন্দরীকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিতে হিলারি ‘সহযোগিতা’ করেছেন বলেও অভিযোগ ট্রাম্পের।

টুইটারে ট্রাম্প বলেন, “মাথা খারাপ হিলারি কি বিরক্তিকর অ্যালিসিয়া মাচাদোকে (তার সেক্স টেপ ও অতীত খতিয়ে দেখুন) যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন, যেন তাকে বিতর্কে ব্যবহার করা যায়?”

এর প্রতিক্রিয়ায় একে ‘বিকৃতমস্তিষ্কের বক্তব্য’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন হিলারি।

হিলারি বলেন, “রাত জেগে নারীদের নিয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রতত্ত্ব খুঁজতে থাকা পুরুষরা কেমন হতে পারে?”

হিলারি বলেন, “ডোনাল্ডের (ট্রাম্প) সরু চামড়ার নিচ দিয়ে যখন কিছু যায়, তিনি তাকে একটুও ছাড় দেন না। এ ধরনের আচরণ একজন প্রেসিডেন্টের জন্য বিপজ্জনক হবে”।

অন্যদিকে ট্রাম্পের টুইটকে পুরুষবাদী অভিহিত করে অ্যালিসিয়া বলেছেন, নারী সম্বন্ধে তার ধারণা ‘বিরক্তিকর’।

তিনি বলেন, “রিপাবলিকান প্রার্থী ও তার দল আবারও মিথ্যা অভিযোগ ও অপমান দিয়ে আমার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাকে ভয় দেখানো, হীন প্রতিপন্ন করা ও আমার ভারসাম্য নষ্ট করা। যে আক্রমণ আমাকে করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যায় ভরপুর; এ ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী নারীদের কলঙ্কিত করতে চাইছে, নীতিহীন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে- যা তার স্বভাবেও আছে”।

সাবেক এই মিস ইউনিভার্স এর আগে বলেছিলেন, সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার পর ট্রাম্প একবার তাকে ‘মিস পিগি’ বলে ডেকেছিলেন। দক্ষিণ আমেরিকান ঐতিহ্য থাকায় রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প তাকে ‘মিস হাউসকিপিং’ (গৃহকর্মী) ডেকেও অপমান করেছিলেন বলে অভিযোগ অ্যালিসিয়ার।

ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম টেলিভিশন বিতর্কে হিলারি এ ঘটনাকে উল্লেখ করে নারীদের প্রতি ট্রাম্পের মানসিকতাকে কটাক্ষ করেন। ওই বিতর্কে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প ধরাশায়ী হয়েছেন বলে বেশিরভাগ জরিপে দেখা গেছে।

তবে জাতীয় পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসির সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, দুই প্রার্থীর ব্যবধান এক পয়েন্টেরও নিচে। বিবিসি’র জরিপে অংশ নেয়া ৪৭ শতাংশ প্রেসিডেন্ট হিসাবে হিলারিকে সমর্থন দিয়েছেন। ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এ সমর্থন ৪৬ শতাংশ। 

রয়টার্স/ইপসোস জরিপে অবশ্য ট্রাম্পের চেয়ে পাঁচ পয়েন্ট এগিয়ে আছেন হিলারি। এখানে তার পক্ষে সমর্থন দেখানো হয়েছে ৪৩ শতাংশ।