আলেপ্পোতে ‘বর্বরতার’ জন্য দায়ী রাশিয়া : জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১১:৪৯
সিরিয়ার পাঁচ বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাতে উত্তরের শহর আলেপ্পো হয়ে উঠেছে এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র। যুদ্ধবিরতি বন্ধ হবার পর সেখানে যে পরিমাণ হতাহত হয়েছে তার প্রায় অর্ধেকই শিশু, এমনটাই জানিয়েছে সিরিয়ায় কর্মরত মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের অনুরোধে জাতিসংঘে বসেছে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক। সেখানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার এই অবস্থার জন্যে সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে।
আসাদ সরকারের সাথে একসাথে যুদ্ধ চালিয়া যাওয়ায়, তিনি সিরিয়া বিষয়ে রাশিয়ার দেয়া বক্তব্যকে পুরোপুরি মিথ্যা বলে অভিযোগ তুলেছেন।
মিজ পাওয়ার এখানে বলছেন, “কেউই যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাসীদের দেয়া বক্তব্যে সন্তুষ্ট করতে পারবেনা। আমাদের জনগণ প্রায়ই সারাবিশ্বে তাদের লক্ষ্যে পরিণত হচ্ছে। রাশিয়া এখন যা করছে তাকে কোনোভাবেই সন্ত্রাস বিরোধী কার্যকলাপ বলা যাবে না। এটি বর্বরতা।”
যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সদস্যদের এক হয়ে এ ব্যাপারে রাশিয়াকে থামানোর আহ্বান জানায়। অন্য অনেক সদস্যই অবশ্য আলেপ্পোতে জাতিসংঘের ত্রাণ বহরের হামলায় রাশিয়াকেই দায়ী মনে করছে। তাদের বক্তব্য, এমনটা হয়ে থাকলে রাশিয়া স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধ করেছে। তবে রাশিয়া ত্রাণবহরে হামলা চালানোর কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিটালি চুরকিন যুদ্ধবিরতি বন্ধের জন্যে বিদ্রোহী সশস্ত্র গ্রুপ কে দায়ী করেন।
তিনি বলেন, “শতশত সশস্ত্র দল সিরিয়ার অভ্যন্তরে ধ্বংস চালিয়ে যাচ্ছে এবং সিরিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব একটি কাজ।”
সিরিয়া জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্টেফান ডি মিস্টুরার মতে যুদ্ধবিরতি বন্ধ হয়ে যাবার পর এখন পর্যন্ত অন্তত ২১৩ জন বেসামরিক মানুষ মারা গেছে। তার মতে এই যুদ্ধ ভীতির নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।
সূত্র : বিবিসি।