অস্ট্রেলিয়ার চার্চে শিশু যৌন নির্যাতনের প্রমাণ
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:৫১
অস্ট্রেলিয়ার চার্চ, স্কুল ও স্পোর্টস ক্লাবগুলোয় হাজার হাজার শিশুকে যৌন নির্যাতন করার প্রমাণ মিলেছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
দ্য ইনডিপেনডেন্টের অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়ার রয়্যাল কমিশন এ বিষয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর তদন্তের পর গতকাল শুক্রবার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলো শিশুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোয় ১০ হাজারের বেশি শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কমিশন এই বিষয়কে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ বলে উল্লেখ করেছে। প্রতিবেদন তৈরির সময় যৌন নির্যাতনের শিকার আট হাজারেরও বেশি শিশুর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
রয়্যাল কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আমরা এখন জানি, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোয় হাজারো শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, যাঁরা ওই শিশুদের নির্যাতন করেছেন।’ এ ক্ষেত্রে চার্চগুলোর যাজকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক বেশি। ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ শিশু চার্চের যাজকদের কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবেদনে ৪০০টি সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে যাজকদের কৌমার্য পালনের পরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া কৌমার্যপ্রথার বাধ্যবাধকতা বন্ধেরও সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশগুলো এখন আইনপ্রণেতারা পর্যবেক্ষণ করবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবেদন তৈরির সময় রয়্যাল কমিশন ১৫ হাজারের বেশি মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে। যৌন নির্যাতনের শিকার আট হাজারের বেশি শিশু তাদের সাক্ষ্য দিয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩০০টি সাক্ষ্য লিখিত আকারে পেয়েছে। দেশটির চার হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে কমিশন বলেছিল, ক্যাথলিক যাজকেরা যদি দোষ স্বীকার না করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। গতকাল তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর অস্ট্রেলিয়ার ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্সের প্রেসিডেন্ট আর্চবিশপ ডেনিস হার্ট শর্তহীনভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।