কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি, চাই সচেতনতা
প্রকাশ : ০৮ মে ২০১৬, ২১:৩৯
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পুরুষের পাশাপাশি নারীর ভূমিকাও অপরিসীম। তাদের দক্ষতা আর মননে মিশে আছে কাজের প্রতি শ্রদ্ধা। সময়ের সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে নারীর অবদান উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। অথচ নিজ কর্মস্থলে কর্মজীবী নারীরা নিরাপদ তো নয়, বরং অহরহ যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের সমস্যায় ভোগে।
কর্মক্ষেত্রে এই ধরনের হয়রানি আজকাল খুব সাধারণ ও স্বাভাবিক হয়ে গেছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানিসহ অন্যান্য নিগ্রহের পরিমাণ আরও অনেক বেশি।
একজন নারীর পেশায় তার রুটি-রুজি ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকে। তাই সমস্যা হলেই তা ছেড়ে আসা নারীর পক্ষে সম্ভব হয় না। আর সেই কর্মক্ষেত্রে একজন নারীকে সহ্য করে যেতে হয় পুরুষ সহকর্মীর নানা অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ।
কর্মক্ষেত্রে নারী যেসব সমস্যায় ভোগে1কর্মক্ষেত্রে নিপুনতার স্বাক্ষর রাখলেও কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের পুরুষ আছে আমাদের সমাজে। যারা নৈতিকতার চরম অবক্ষয়সহ নানারকমের অস্থিরতায় ভোগে। আদর্শহীনতা, সংযমের অভাব, আর্থিক অসাম্য, অশিক্ষা, মানবিক শ্রদ্ধাবোধের ঘাটতি, অশান্তি, মানসিক অস্থিতিশীলতায় ভোগে। সেখানে কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংস আচরণ তাদের কাছে স্বাভাবিক।
– নারী সহকর্মীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে মন্তব্য করা।
– কথা বলার মাঝে কোনো অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা।
– কোনো নারীকে আগের দিন বিকেল বা রাতটা কেমন কাটলো এবং কী করেছিল সে তা জানতে চাওয়া।
– নারীদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে অন্য সহকর্মী নারীকে নিয়ে কথা বলা।
– নারী সহকর্মীর দিকে পলকহীন তাকিয়ে থাকা।
– সুযোগ পেয়ে নারী সহকর্মীকে স্পর্শ করা।
– নারীর পোশাক নিয়ে মন্তব্য করা।
এসবই নির্যাতনের সমান। তাই প্রত্যেক নারীকে সচেতন হতে হবে। কর্মপরিবেশ বুঝে সেখানে প্রবেশ করতে হবে। তাছাড়া কর্মক্ষেত্রে নারীরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে জোট গড়ে তুলতে পারে। তাতে কুরুচিপূর্ণ পুরুষরা এমন আচরণ থেকে দূরে থাকবে। সর্বপরি নিজে সচেতন থাকতে হবে। যাতে তারা এমন আচরণের সুযোগ না পায়।
সূত্র: ইন্টারনেট