সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব সংসদে প্রত্যাখ্যান
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৫৫
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার একটি বেসরকারি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব কন্ঠভোটে প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় সংসদ।
২৬ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু ওই সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি আনেন যা কণ্ঠভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়।
জাতীয় সংসদে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব এনে রেজাউল করিম বলেন, “বিশ্বের ১৯২টি দেশের মধ্যে ১৫৫টি দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স কোথাও ৫৫ বছর কোথাও, কোথাও ৫৯ বছর পর্যন্ত। দেশে এখন শিক্ষিত বেকার ২৮ লাখের বেশি। চাকরির বয়সসীমা বাড়িয়ে এদের পথ উন্মুক্ত না করা হলে চাকরি না পেয়ে অনেক যুবক মাদক, ছিনতাই ও অন্যান্য সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করা উচিত হবে।”
সংসদে রেজাউল করিমের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংসদে বলেন, “বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের যে বয়সসীমা, তা সরকার যৌক্তিক বলে মনে করছে।”
তিনি আরও বলেন, “এখন আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট নেই। ২৩ বছর বয়সে শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করে ছয়-সাত বছর চাকরির প্রস্তুতির জন্য সময় পাচ্ছেন। তাছাড়া চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা হলে পেনশন সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হবে।”
এসব বিবেচনায় নিয়ে প্রতিমন্ত্রী সাংসদ রেজাউল করিমকে তার প্রস্তাব প্রত্যাহার করার অনুরোধ করেন। কিন্ত সাংসদ রেজাউল করিম প্রত্যাহার করবেন না বলে জানালে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে দেওয়া হয়।
কণ্ঠভোটে নাকচ হওয়ার পর ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, “প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যাত হল।”