নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি নারীর ‘খুনি’ গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১২:২৩
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি নাজমা খানম ঝর্না হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইয়নাথন গালভেজ-মারিন (২২) নামে গ্রেপ্তার আমেরিকান নাগরিক ছিনতাইয়ে ব্যর্থ হয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
৩১ আগস্ট (রবিবার) রাতে বাঙালি অধ্যুষিত কুইন্সের জ্যামাইকা এলাকায় নিজের বাসার কাছে হামলার শিকার হন নাজমা (৬০)। তার বোনের এক ছেলে হুমায়ুন কবির নিউ ইয়র্কে পুলিশ বিভাগে কাজ করেন।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই খুনি ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। ৩ সেপ্টেম্বর (শনিবার) গালভেজ-মারিনকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়। এই যুবক নাজমার এলাকাতেই থাকেন।
ধর্ম কিংবা জাতিগত বিদ্বেষ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে নাজমার স্বজনরা ধারণা করে আসছিল।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নাজমা তার টাকার ব্যাগ দিতে না চাওয়ায় তাকে ছুরিকাঘাতের কথা স্বীকার করেছে গালভেজ-মারিন।”
যে স্থানে হামলা হয়েছে, সেই সড়কেই এই যুবকের বাসা। সেখান থেকে দুই ব্লক পরই নাজমার বাসা। গালভেজ-মারিনের বিরুদ্ধে হত্যার পাশাপাশি ছিনতাই ও অস্ত্র রাখার অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই যুবকের বিরুদ্ধে এর আগে কোনো অপরাধের অভিযোগ ছিল না।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, নাজমার বুকে উপর্যুপরি আঘাত করে ঘাতক। এক পর্যায়ে ছুরি ভেঙে যায়। ছুরির ভাঙা ফলা তার শরীরে চার ইঞ্চি পর্যন্ত গেঁথে ছিল। শুক্রবার জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে জানাজার পর রাতে বাংলাদেশে পাঠানো হয় নাজমার মরদেহ।
শরীয়তপুর জেলার পালং ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে নাজমাকে দাফন করা হবে বলে তার বোনের ছেলে মোহাম্মদ কবির জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১০ বছর আগে ডিভি লটারিতে যুক্তরাষ্ট্রের পাড়ি জমিয়েছিলেন শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজমা। তার স্বামী শামসুল আলমও সে সময় শরীয়তপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক ছিলেন। তাদের তিন সন্তানের মধ্যে একজন নিউ ইয়র্কে থাকেন; বাকি দুই ছেলে-মেয়ে থাকেন বাংলাদেশে।