'কল ড্রপের হিসাব বাধ্যতামূলক'
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:৩৯
মোবাইল ফোন অপরেটরগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে কল ড্রপের হিসাব টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিতে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। সোমবার বিকালে বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এই নির্দেশ দেন।
বৈঠকে সেবার মান, কলড্রপ ও বিভিন্ন নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিয়ে অপারেটদের সিইও’দের সঙ্গে আলোচনা করেন তারানা হালিম। এ সময় কল ড্রপের ফলে গ্রাহক কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন, তার হিসাবও প্রতিমাসে বিটিআরসি’র কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। অপারেটরদের চলতি জানুয়ারির প্রতিবেদন আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাঠাতে বলেন তিনি।
বৈঠক শেষে তারানা হালিম সাংবাদিকদের বলেন, "আমাদের সেবার মান বাড়ানোর জন্য মোবাইল অপরেটরদের বলেছি। এখন থেকে প্রতিমাসে কী পরিমাণ কলড্রপ হয়, ক্ষতিপূরণের হিসাব জানানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রথমে তারা বিটিআরসি’র কাছে হিসাব দেবে। সেখান থেকে মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদরকি করবে"।
এছাড়া বিদেশের কোনও নম্বরে মিসড কল গেলে তার টাকা কাটা যাবে না বলেও অপারেটরদের নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী জানান, "কলড্রপের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থার (আইটিইউ) নির্ধারিত মান শতকরা ৩ শতাংশ। সে অনুযায়ী যদি কলড্রপ হয়, সেটি গ্রহণযোগ্য হবে। তবে এর বেশি কল ড্রপ হলে জরিমানা দিতে হবে"।
তারানা হালিম বলেন, ‘কোয়ালিটি অব সার্ভিস নিশ্চিত করতে অপারেটরা দু’টি প্রধান সমস্যার কথা বলেছেন। একটি হচ্ছে ইন্টারনেটের ডাটা ডিমান্ড বেশি, সে কারণে প্রচুর পরিমাণ স্প্রেকটাম কনজাম্পশেন হয়। ভয়েসের ক্ষেত্রে কিছুটা কম হলেও গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’
বৈঠকে অপারেটরা এসব সমস্যা সমাধানে প্রতিমন্ত্রীর কাছে দু’টি সহায়তা চেয়েছেন। যার একটি হলো অবকাঠামোর অ্যাকটিভ শেয়ারিং ও আরেকটি হলো টেক নিউট্রালিটি বা প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা। সরকার এ দু’টি বিষয় নিশ্চিত করতে পারলে আরও ভালো করা যাবে বলে প্রতিমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন সিইও’রা।