দক্ষ জনশক্তি গড়ার কারিগর ‘ডিজিটাল হাব বাংলাদেশ লিমিটেড’
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০১৮, ১৬:২৬
জনবহুল বাংলাদেশে অভিশাপের মত জেঁকে বসেছে বেকার সমস্যা। যেখানে শিক্ষিতের হার অগণিত আর কর্মসংস্থান সীমিত। এই সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টাও করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। বেশকয়েকটি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে শিক্ষিত কর্মহীন ছেলেমেয়েদের। এর মধ্যে সরকার SEIP এবং BACCO প্রকল্পের আওতায় ভাতা প্রদান করে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, আইটি, কাস্টমার সার্ভিস, অনলাইন মার্কেটিং, এডিটিং, ইউটিউবিং, এসব বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে। এর মধ্যে ‘প্রফেশনাল কাস্টমার সার্ভিস’ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয় ‘ডিজিটাল হাব বাংলাদেশ লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রতিষ্ঠান এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন শাখায়। তার মধ্যে রয়েছে কল সেন্টার, আইটি ট্রেনিং, বিজনেস কন্সালটেন্সি, বিপিও (BPO) সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং আরও অনেক বিষয়।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, যে প্রশিক্ষণ দেবার জন্য প্রতিষ্ঠানন্টি দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছে অর্থাৎ ‘প্রফেশনাল কাস্টমার সার্ভিস’ সেটি তারা দিচ্ছে একদম হাতে কলমে। একজন মানুষ তার ভেতরের সুপ্ত প্রতিভা গুলো যেন বের করে আনার সুযোগ পায় এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠতে পারে সেটা তাদের নান্দনিক উপায়ে প্রশিক্ষণের ধরণ না দেখলে বোঝা যাবেনা। এখানে প্রধান প্রশিক্ষক রয়েছেন জনফারুক, যিনি তার উদ্যম আর নতুন নতুন পরিকল্পনা সবার শিক্ষানবিশদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন যেন শুধু চাকুরিজীবী না একজন ব্যবসায়ী হয়েও কিভাবে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। সাথে রয়েছে প্রশিক্ষক প্রজ্ঞা সুস্মিতা নীতু, অনন্যা হায়দার তন্বী, ন্যান্সি অপর্ণা, তাজুল ইসলাম আরও অনেকে। যাদের আন্তরিক সহযোগিতায় শিক্ষানবিশরা প্রতিনিয়ত নিজেদেরকে নতুন করে তৈরি করার সুযোগ পাচ্ছে। তারা যেন কর্মক্ষেত্রে নিজেদেরকে সুন্দরভাবে পেশাগতভাবে উপস্থাপন করতে পারে এবং যেকোনো পরিবেশে মানিয়ে চলতে পারে সেভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। আর প্রধান উল্লেখ্য বিষয় হলো ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অবস্থায়ই চাকুরীতে যোগদান করা সুযোগ পেয়েছে।
ডিজিটাল হাব এর একমাত্র লক্ষ্য প্রশিক্ষণ যেন শুধুমাত্র সময়টা অতিবাহিত না করে কিছু অর্জন করতে পারে যুবসমাজ। তাদের শিক্ষাটা কাজে লাগিয়ে দেশের সম্পদ হয়ে গড়ে উঠতে পারে। ‘ডিজিটাল হাব বাংলাদেশ লিমিটেড’ এগিয়ে যাচ্ছে দেশের জন্য এবং শিক্ষিত কর্মসন্ধানী ছেলেমেয়েদের জন্য সুবিস্তৃত পরিকল্পনা নিয়ে। যেখানে থাকবে ইন্টারন্যাশনাল কল সেন্টার যার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনৈতিক খাত তরান্বিত হবে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাইমা মারিয়াম যিনি কিনা বিদেশে অনেক বছর চাকুরীরত ছিলেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে দেশে ফিরে শুধু এই প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন অক্লান্তভাবে। এরকম উদ্যোক্তা একটি প্রতিষ্ঠানের স্বপ্নই দেখে নতুন প্রজন্ম যার মাধ্যমে তাদের স্বপ্ন পূরণ হতে পারে।