পানির বোতলে কেন মেয়াদের তারিখ থাকে?
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০১৭, ১৫:৫৬
দোকান থেকে কিছু কেনার আগে একটা বিষয় মনে রাখতেই হয়—পণ্যটার মেয়াদ আছে তো? পণ্যের গায়ে লেখা মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ঠিকঠাক থাকলে নিশ্চিন্ত। না থাকলে হয়তো অভিযোগ করা হয় বা পণ্যটা বদলে নেওয়া হয়। কিন্তু পানি কেনার সময় কি বোতলের গায়ে মেয়াদের তারিখটা দেখেন? বেশির ভাগ মানুষই বলবেন, পানির আবার মেয়াদ কিসের? মেয়াদ যদি না-ই থাকে, তাহলে পানির বোতলে মেয়াদ উল্লেখ থাকে কেন?
খেয়াল করলে দেখবেন, শিশুদের জন্য তৈরি ‘চাইল্ড কার সিটেরও’ মেয়াদ থাকে। এটারই-বা ব্যাখ্যা কী? যুক্তিসংগত ব্যাখ্যাই আছে। প্রতিদিন ব্যবহারে একসময় এসব সিট নষ্ট হয়ে যায়। এতে মেয়াদ শেষে ঘটে যেতে পারে যেকোনো দুর্ঘটনা। আর তাই রীতিমতো হিসাব কষে এর সঙ্গে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার একটা তারিখও সেঁটে দিতে হয়।
মোটামুটি সবকিছুর হিসাবই পানির মতো স্বচ্ছ। কিন্তু পানির মেয়াদের বিষয়টা তো ঘোলাই ঠেকছে! পানি কি তাহলে নষ্ট হয়ে যায়? উত্তর হলো, না। তবে এর মধ্যে একটা ‘কিন্তু’ আছে। ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে একটা আইন পাস হয়। যেখানে বলা হয়, প্রতিটা খাদ্যপণ্যের গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ থাকতেই হবে। আর মেয়াদকাল হওয়া চাই সর্বোচ্চ দুই বছর। ব্যস, আইন হয়ে গেল আর নিউজার্সির পানি বিক্রেতারা বোতলের গায়ে মেয়াদ লিখে দিলেন দুই বছর। তাদের দেখাদেখি অন্যরাও একই কাজ করল। বিষয়টা নিয়ে মাথাও ঘামাল না কেউ।
মাথা না ঘামালেও কেউ কেউ প্রশ্নটা তো তুললই। বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন, বোতলের পানি হয়তো ঠিকই থাকবে, কিন্তু সমস্যা ওই বোতলেই। পানির বোতল তৈরিতে যেসব উপাদান ব্যবহৃত হয়, সেগুলো কিন্তু একটা সময়ের পর পানির স্বাদ বদলে দেয়। এ ছাড়া পানির বোতলে একসময় সূক্ষ্ম ছিদ্রও তৈরি হয়। এতে বাইরের পৃথিবীর গন্ধ ও রং পানির সঙ্গে মিশে যায়। এ কারণেই পানির বোতলের মেয়াদ নিয়েও ভাবতে হয়। তবে বোতলটি যদি পরিষ্কার জায়গায় থাকে, তাহলে মেয়াদ পার হলেও পান করা যায়। বোতলটা যদি আবার নোংরা স্থানে থাকে, তাহলে সেটা পান না করাই ভালো।
সূত্র: মেন্টালফ্লস