ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সরাইল মুক্ত দিবস আজ
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৫:৪০
আজ ৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সরাইল হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিনাযুদ্ধে শত্রুমুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর। একই দিনে শত্রুমুক্ত হয় সরাইল উপজেলাও।
জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের প্রধান জহুর আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অঞ্চলে যুদ্ধ চলে। ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হওয়ার পর মুক্তিবাহিনীর একটি অংশ দক্ষিণ দিক থেকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে এবং মিত্র বাহিনীর ৫৭তম মাউন্টের ডিভিশন আখাউড়া-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল লাইন ও উজানিসার সড়ক দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
শহরের চতুর্দিকে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর শক্ত অবস্থান থাকায় পাক বাহিনীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর রাজাকারদের সহায়তায় হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই দিন তৎকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের অধ্যাপক কেএম লুৎফুর রহমানসহ কারাগারে আটক থাকা অর্ধশত বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে চোখ বেঁধে শহরের কুরুলিয়া খালের পাড়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শহর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাকবাহিনীর সদস্যরা কলেজ হোস্টেল, অন্নদা স্কুল বোর্ডিং, বাজার ও গুদামসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে।
৭ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জের দিকে পালাতে থাকে। ৮ ডিসেম্বর বিনা বাধায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই সাধারণ মানুষ জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে মুক্তি বাহিনীকে অভিনন্দন জানান। পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর ভয়ে যারা এতদিন বিভিন্ন স্থানে পালিয়েছিলেন তারাও নির্ভয়ে শহরে আসতে থাকেন। ওই দিন সকাল ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তৎকালিন কোর্ট বিল্ডিংয়ে (বর্তমান পুরাতন কাচারি) স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করা হয়। একই দিন সরাইলে মুক্তিযোদ্ধাদের অব্যাহত আক্রমণে পরাস্ত হয়ে হানাদাররা পালিয়ে যায়। শত্রুমুক্ত হয় সরাইল উপজেলাও।