আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস
প্রকাশ : ২০ জুন ২০১৮, ১২:৫০
আজ ২০ জুন (বুধবার) বিশ্ব শরণার্থী দিবস। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর শরণার্থীদের অধিকার রক্ষায় প্রতি বছরএই দিনে দিবসটি পালন করে। এ বিষয়ে সংস্থাটি কিছু কর্মসূচিও পালন করবে।
সারা পৃথিবীর অন্তত ৬ কোটি মানুষ এখন বাস্তুচ্যুত। এর মধ্যে শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ২ কোটি ১৩ লাখ মানুষ। পৃথিবীর তিনটি মাত্র দেশ থেকে আসছেন বিশ্বের ৫৪ ভাগ শরণার্থী। দেশগুলো হলো সোমালিয়া, আফগানিস্তান ও সিরিয়া। জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
এ প্রসঙ্গে গত ১৯ জুন বাৎসরিক গ্লোবাল ট্রেন্ডস রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রাষ্ট্রহীন এবং উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের আন্তর্জাতিক সুরক্ষা প্রয়োজন। গত আগস্টে মিয়ানমারে নৃশংস সহিংসতা চলাকালে বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ শরণার্থী বাংলাদেশে আসে। সে সময় থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে, যা গত দুই দশকের মধ্যে এই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় এবং দ্রুততম শরণার্থী প্রবাহ ছিল। কক্সবাজারের কুতুপালং, বালুখালি এখন বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী আশ্রয়স্থল। ঘনবসতিপূর্ণ আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্যোগময় আবহাওয়ার সময় বিশেষ করে মে ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্ষা মৌসুমে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি বাড়ছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১৭ সালে ২৭ লাখের অধিক শরণার্থী তাদের বাড়ি থেকে অন্য দেশে পালিয়ে যায়, যাদের অধিকাংশ (৮৮ শতাংশ) মাত্র তিনটি দেশ (দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া, মিয়ানমার) থেকে পালিয়ে গেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন ১১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৫ জন (২৪ মে পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী)।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি বৃহৎ অংশ ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। তাদের অর্ধেকের বেশির বয়স ১৮ বছরের নিচে, অর্ধেকের বেশি নারী ও মেয়ে শিশু এবং এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত পরিবারের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের অনেকেই নিজ দেশে যৌন নির্যাতন এবং মানসিক আঘাতসহ চরম সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছেন। ইউএনএইচসিআর মিয়ানমার সরকারকে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা, নাগরিকত্ব প্রদানসহ সমস্যার মূল কারণগুলো সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও পালন করতে যাচ্ছে দিবসটি।