সুষ্ঠু সিদ্ধান্ত নিতে মস্তিষ্কের প্রশিক্ষণ
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০১:০৫
উদ্যোক্তার সমার্থক ব্যক্তিত্ব হতে পারেন তারাই যারা সকল বাধা টপকে যান। স্ট্রেস কাটিয়ে বাধা টপকে সফলতা অর্জন করতে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষজ্ঞরা জানান, যেকোনো কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে মস্তিষ্ক দুই মৌলিক পন্থায় কার্যকর হয়। হয় যুদ্ধ, নয়তো পলায়ন। তবে আশার বিষয় হলো, অসহায় অবস্থা কাটিয়ে ওঠা নির্ভর করে আপনি পরিস্থিতিকে কিভাবে বিশ্লেষণ করছেন। এখানে জেনে নিন, কিভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণ দিতে হয়।
বিশেষজ্ঞের মতে, যেকোনো পরিস্থিতিতে মস্তিষ্কে ব্যাখ্যামূলক এবং সিদ্ধান্ত আরোপনের বিষয়টি তিনভাবে কার্যকর হয়।
১. অভ্যন্তরীন বনাম বহির্মুখী বিষয়: এ দুয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে যেকোনো পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করি আমরা। আর সেখানেই আসে দায়িত্বশীলতা। একে অভ্যন্তরীন সমস্যা হিসাবে নেওয়ার অর্থ ওই পরিস্থিতিতে আপনি নিজেকে মূল কারণ বলে মনে করছেন। যেমন- প্রেজেন্টেশন দিতে আমি একদম পারি না।
এটা অভ্যন্তরীন কারণ। আর প্রেজেন্টেশনের বিষয়গুলো খুবই কঠিন, এটা বহির্মুখী কারণ।
২. সুস্থির বনাম অস্থির: এর মাধ্যমে আপনি যেকোনো ঘটনার আয়ু প্রকাশ করেন। যেকোনো কাজের প্রভাব স্থায়ী বা অস্থায়ী ফলাফল দেয় আপনাকে। যেমন- আমি সব সময় নাম ভুলে যাই।
৩. গ্লোবাল বনাম নির্দিষ্ট: এর মাধ্যমে একটি ঘটনার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়। এটা পরিবেশ ও ঘটনাভেদে বিশ্বজনীন হতে পারে, আবার একটি বিশেষ ঘটনা ও পরিবেশ নিয়েও হতে পারে। যেমন- আমি কনফারেন্সে যোগ দিতে একদমই পছন্দ করি না। এটা গ্লোবাল। আবার শেষ কনফারেন্সটা আমার একদমই ভালো লাগেনি। এটা একটা নির্দিষ্ট ঘটনাকে নির্দেশ করছে।
তবে ঘটনাকে বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে দুটো অংশে ভাগ হয়ে যাওয়া প্রয়োজন। এক, আশাবাদ। দুই, নৈরাশ্যবাদ। কেউ যদি কোনো চ্যালেঞ্জ নৈরাশ্যবাদের সঙ্গে গ্রহণ করে তখন তাকে বোকা বলে মনে করা হয়। এদের বুদ্ধিমত্তার অভাব রয়েছে। এরা কোনো কাজে সফল হবে না বলেও বিশ্বাস করা হয়। এরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুদ্ধংদেহী মনোভাব গ্রহণ করেন।
আর যারা আশাবাদী, তারা প্রাণোচ্ছলতা নিয়ে জন্ম নেন। এ ধরনের মানুষরা ধীরস্থিরভাবে তাদের পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। চিন্তার ভুল ধরতে পারেন এবং ভুল শুধরে নিতে কোনো দ্বিধা নেই তাদের। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেন তারা। ঘটনার সমাধান নিয়ে অর্থপূর্ণ চিন্তা সর্বোৎকৃষ্ট উপায়। মানসিক চিন্তা বা পরিকল্পনাতেই বেরিয়ে আসবে, নেতিবাচক বিষয়ে আপনি কি সমাধানের পথ বেছে নেবেন।
তাই যুদ্ধ মনোভাব নিয়ে কোনো ঘটনার মোকাবেলা প্রস্তুতি আপনাকে মানসিক চাপের সম্মুখীন করে। তাই আশাবাদীদের উপায়ে এগিয়ে গেলে পাবেন নিশ্চিত সমাধান।