চালকরা কেন স্টিয়ারিং হাতেই ঘুমিয়ে পড়ে
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০১৭, ১৮:১৪
কয়েকদিন আগেই রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হলেন। জানা গেছে, চালক ট্রাক চালাতে চালাতেই ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু কেন ঘটছে এমন ঘটনা?
এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মত হলো, এটি একটি রোগ। হ্যাঁ, আক্ষরিক অর্থেই এটি একটি রোগ। যে রোগটির কথা এখনও অধিকাংশেরই অজানা। এ রোগের নাম স্লিপ অ্যাপনিয়া। এই সেই রোগ যার প্রকোপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। অথচ যার সম্পর্কে এখনও সাধারণ মানুষ সচেতন নন। আর সবচেয়ে বেশি এমন রোগ যাঁদের ওপর থাবা বসাচ্ছে, তাঁরা হলেন গাড়ির চালক।
যাঁরা গাড়ি ভাড়া দেন কিংবা অ্যাপ নির্ভর গাড়ি যে সংস্থাগুলো চালান তাঁরা কি চালকের স্বাস্থ্যের খোঁজ রাখেন? দেখা গিয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গাড়ির চালকদের চাকরি দেওয়ার আগে তাঁর স্লিপ টেস্ট করার রেওয়াজ নেই। অথচ এই স্লিপ টেস্ট মোটেও ব্যয়সাপেক্ষ নয়।
নয় যন্ত্রণাদায়কও। এখন বহুস্থানেই করা যায়। চাইলে নিজের বাড়িতেই অনায়াসেই করে নেওয়া যায় এই পরীক্ষা। শোওয়ার সময় গায়ে যন্ত্রটি বিশেষভাবে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়তে হয়। সকালে উঠেই জানা যায়, স্লিপ অ্যাপনিয়া রয়েছে কি না।
কিভাবে প্রভাব ফেলছে এ রোগ? বেশিরভাগ সময়ই গাড়ির চালকরা জানতে পারেন না, এমন একটি রোগ চুপিসারে বেড়ে উঠেছে তাঁদের শরীরে। যার ফলে যখন-তখন, খানে-সেখানে ঘুমিয়ে পড়ছেন তাঁরা। স্টিয়ারিং হাতে থাকার সময় বার বার ঢলে আসে চোখ দু’টি। ফল, মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। খোঁজ নিলেই জানা যাবে, ঘুমের মধ্যেই প্রচণ্ড জোরে নাকও ডাকেন স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা। শরীরে ডায়াবেটিস থাকতে পারে তাঁদের। থাকতে পারে উচ্চ রক্তচাপের প্রবনতাও। এর জেরেই শরীর হয়ে আসতে পারে অবসন্ন। স্টিয়ারিং হাতে বুজে আসতে পারে চোখ। আর যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে কোনো অঘটন।
এ ছাড়া চালক যেন বাড়তি পরিশ্রম না করে এবং প্রতি ২৪ ঘণ্টায় অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমায় সে বিষয়টিও নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।