মুক্তামনির তৃতীয় অস্ত্রোপচার
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:৫৪
বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তামনির হাতে তৃতীয় দফায় অস্ত্রোপচার চলছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট বার্ন ইউনিটে তার দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার শুরু হয়। ২০ শতাংশের মতো শেষ হওয়ার পর জ্বর আসায় অস্ত্রোপচার মুলতবি রাখা হয়। সেই অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার জন্য ৫ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) তৃতীয় দফায় তার অস্ত্রোপচার শুরু করেছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন জানান, ৫ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৯টায় এই অস্ত্রোপচার শুরু হয়। আশা করছি তৃতীয় এই অপারেশনে আমরা সফল হব। আজ সাতজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অপারেশনে যুক্ত আছেন।
মুক্তামনির প্রথম অস্ত্রোপচার হয় গত ১২ অগাস্ট। সেদিন ২০ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল প্রায় আড়াই ঘণ্টার জটিল সেই অপারেশনে অংশ নেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন ও আসমা খাতুন দম্পতির মেয়ে মুক্তামনির ডান হাতে প্রথমে টিউমারের মতো হয়। ছয় বছর বয়স পর্যন্ত টিউমারটি তেমন বড় হয়নি। কিন্তু পরে তার হাতটি ফুলে অনেকটা কোলবালিশের মতো হয়ে যায়! একপর্যায়ে হাতে পচন ধরে। সাদা রঙের শত শত পোকা ঘুরে বেড়াতে থাকে সেই ফুলে যাওয়া অংশে। শরীরের অসহ্য ব্যথা ও যন্ত্রণায় মুক্তামনি বসতেও পারতো না। হাতের সঙ্গে বুকের একাংশেও ছড়িয়ে পড়ে রোগটি। দীর্ঘ নয় বছরেও মুক্তার রোগ ধরতে পারেননি চিকিৎসকরা।
এরপর সংবাদমাধ্যমে তার কথা উঠে এলে গত ১১ জুলাই মুক্তামনিকে ভর্তি করা হয় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুক্তামনির কাগজপত্র সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মুক্তামনির অসুখ আরোগ্যযোগ্য নয়। তবে ঢামেকের চিকিৎসকরা রোগ সারাতে সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।