প্লাস্টিকে বিপদ!

প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০১৭, ০১:২২

জাগরণীয়া ডেস্ক

অফিসে খাবার এনেছেন প্লাস্টিকের বাটিতে। টেবিলের ওপর রাখা পানির বোতলটিও প্লাস্টিকের আমদের চারিপাশে শুধু প্লাস্টিকই প্লাস্টিক। খাবার প্লেট থেকে ব্রাশ, পানির বোতল থেকে কাপ, কেনও কিছুই যেন আজকাল প্লাস্টিক ছাড়া তৈরি হচ্ছে না।

এদিকে প্লাস্টিকের কারণে আমাদের আয়ু কমছে দ্রুত হারে। একাধিক গবেষণা একথা প্রমাণ করেছে যে প্লাস্টিক আমাদের শরীরে ভেতরে খুব খারাপ কিছু পরিবর্তন করছে, ফলে নানাবিধ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কমছে আয়ু। কিন্তু কীভাবে এমনটা ঘটছে? আমাদের ব্যবহৃত প্রায় সব প্লাস্টিকের সামগ্রিতেই লুকিয়ে রয়েছে একটি বিষ। যার নাম এক্সেনোস্ট্রেজেন। এটি শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে হরমোনে অসামঞ্জস্যতা দেখা দেওয়ার কারণে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়।

“বি পি এ” ফ্রি প্লাস্টিকের বাসনপত্র ব্যবহার করলেও শরীরে এই উপাদানটির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। সহজ কথায় প্লাস্টিকের বোতলে রাখা জলে এবং মাইক্রোওয়েভে গরম করা প্লাস্টিকের বাটিতে রাখা ভাতে এক্সেনোস্ট্রেজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে এমন পানি বা ভাত দীর্ঘ দিন ধরে খেয়ে গেলে শরীরের অবনতি ঘটতে শুরু করে।

সম্প্রতি এনভায়রমেন্টাল হেলথ প্রসপেকটিভ জার্নালে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে বাজারে বিক্রি হওয়া প্রায় সব ধরনের প্লস্টিকের সামগ্রিতেই এই উপাদানটি উপস্থিত থাকে। এমনকী যেসব প্লাস্টিকের বাসন পত্রে “বি পি এ” ফ্রি লেখা থাকে সেগুলিতেও এক্সেনোস্ট্রেজেনের মাত্রা বিপদ সীমার উপরে থাকে।

তাই প্লাস্টিকের সহজলভ্য এইসব পণ্য নিয়ে আমাদের আরও ভাবা প্রয়োজন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত