সাবরিন ফারুকি: অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে প্রথম বাংলাদেশি নারী
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০১৯, ২০:৩১
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের আসন্ন রাজ্য সংসদ নির্বাচনে দেশটির বর্তমান বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশের সাবরিন ফারুকি। দেশটির মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করা প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে তিনি এই গৌরব অর্জন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে সাবরিন বলেন, ‘বাংলাদেশি হিসেবে আমার গর্বের শেষ নেই। সমাজের কল্যাণের পাশাপাশি এবার অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্যও কিছু করার চেষ্টা থাকবে। সকলের শুভ কামনা আশা করছি।’
সাবরিন ফারুকির জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। মা মমতাজ বেগম ও বাবা সরদার এম এ কুদ্দুসের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট সাবরিন। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন ইংরেজি সাহিত্যে। এরপর উচ্চশিক্ষা নিতে ২০০৪ সালে সিডনি পাড়ি জমান সাবরিন। সিডনির ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে দ্বিতীয়বারের মতো স্নাতকোত্তর পাস করেন। ২০১০ সালে ইউনিভার্সিটি অব সিডনি থেকে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা বিষয়ে পিএইচডি অর্জন করেছেন সাবরিন।
সাবরিন সিডনি ইউনিভার্সিটির শিক্ষা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে প্রায় চার বছর কাজ করেছেন। স্বামী খুরশিদ রেজা সিডনির একটি প্রতিষ্ঠানে বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন। এই দম্পতির এক ছেলে আরীবের বয়স সাত বছর।
২০১৫ সালে যোগ দেন রাজনৈতিক দল অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টিতে। দলের হয়ে নিজ পেশার বাইরে অস্ট্রেলিয়ায় আসা শরনার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য একটি প্রচারণা চালাচ্ছেন সাবরিন ফারুকি। শরনার্থীদের কর্মসংস্থান তৈরি করার কাজও করছেন। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এনএসডব্লিউ বর্ষসেরা নারী পুরস্কার ২০১৮ অনুষ্ঠানে তার হাতে ‘বর্ষসেরা নারী’ পুরস্কারটি তুলে দেয়। সিডনির ব্যাংকসটাউন সংসদীয় এলাকার বহুজাতিক সম্প্রদায় ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য নির্বাচকমণ্ডলী সাবরিনকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করে।
সাবরিন ফারুকি দেশটির ফেয়ার ওয়ার্ক কমিশনের উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণ সংস্থা ও বাঙালি কমিউনিটি সংগঠনের সঙ্গেও কাজ করে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় শরণার্থী ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে ‘শক্তি অস্ট্রেলিয়া’ এবং বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য অলাভজনক সংগঠন ‘সিতারাস স্টোরি’-এর সঙ্গেও কাজ করছেন সাবরিন ফারুকি।