সিআইএর প্রথম নারী পরিচালক জিনা হাসপেল
প্রকাশ : ১৮ মে ২০১৮, ১২:৪২
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে দেশটির সিনেটের অনুমোদন পেয়েছেন জিনা হাসপেল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত হাসপেল ১৭ মে (বৃহস্পতিবার) সিনেটে ৫৪-৪৪ ভোটে অনুমোদন পান।
এদিকে সিনেটে ভোটের আগে সব সমালোচনাকে উপেক্ষা করে হাসপেলের সমর্থনে ট্রাম্প এবিসি নিউজকে বলেন,‘ওয়াটারবোর্ডিং’ কাজ করেছে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুনরায় ওয়াটারবোর্ডিং পদ্ধতি চালুর করার ডাক দেন তিনি।
ভোটের পর ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার এক বিবৃতিতে বলেন, আমি বিশ্বাস করি তিনি (হাসপেল) এমন একজন যিনি প্রেসিডেন্টের অবৈধ ও অনৈতিক আদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবেন। প্রেসিডেন্ট চাইলেও সিআইএ আর এই ধরণের পদ্ধতি ব্যবহার করবে না বলে হাসপেল অঙ্গীকার করেছে।
‘ওয়াটারবোর্ডিং’ আসলে সিআইএর জিজ্ঞাসাবাদের একটি কৌশল। এতে বন্দীর মুখ ঢেকে দিয়ে ক্রমাগত পানি ঢালা হতো। এতে বন্দী নিজেকে ডুবে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে অনুভব করতো। যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলার পর সিআইএ সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীদের ওপর এই কৌশল প্রয়োগ করায় যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে।
২০১৪ সালের সিনেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ও পেন্টাগনে হামলার দায়ে হাসপেলের তত্ত্বাবধানে যুক্তরাষ্ট্র অন্তত ১১৯জন সন্দেহভাজন আসামীকে ওয়াটারবোর্ডিং এর মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
৬১ বছর বয়সী নব নির্বাচিত সিআইএ প্রধান হাসপেল বেশিরভাগ সময় গুপ্তচর হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। ২০০২ সালে থাইল্যান্ডের হাসপেলকে একটি সংস্থার মাধ্যমে ‘ব্ল্যাক সাইট’ চালানোর জন্য নির্বাচিত করা হয়। ‘ব্ল্যাক সাইটে’ আসামীদের কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লোমহর্ষক কৌশল ব্যবহার করা হতো যা নির্যাতনে সামিল বলে সিনেটের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। মানবাধিকার সংস্থা মোতাবেক, হাসপেল থাইল্যান্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে ওয়াটারবোর্ডিং বিতার্কিত কাজ চলমান রেখেছিলেন। তবে ঠিক কার তত্ত্বাবধানে তিনি এ ভূমিকা পালন করেছেন এর সঠিক রেকর্ডটি শুধু সিআইএ জানে।