আরো কাছাকাছি ঘূর্ণিঝড় মোরা
প্রকাশ : ৩০ মে ২০১৭, ০৪:৫১
![](https://bangla.jagoroniya.com/templates/jagoroniya-v1/images/jagoronia.png)
![](/assets/news_photos/2017/05/30/image-8976.jpg)
ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ উপকূলের আরো কাছাকাছি পৌঁছে গেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোরা। মধ্যরাতে উপকূল থেকে এটি ২৩০ কিঃমিঃ দূরে অবস্থান করছিল।
এক নজরে জেনে নিন ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ খবর।
অবস্থান: সোমবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা থেকে ৩৮০ কিলেমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল মোরা।
শক্তি: ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়োহাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝড়ের প্রভাবে সাগর রয়েছে উত্তাল।
আঘাত হানার সম্ভাব্য সময়: মঙ্গলবার সকাল নাগাদ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও হাতিয়া হয়ে উপকূল রেখা অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোরা।
সংকেত: চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর এবং পায়রা ও মোংলা বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সতর্কতা:
মোরার প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে সোমবার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি চলছে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করার সময় দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে চলতে পারে অতি ভারি বর্ষণ।
উপকূলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
বুয়েটের ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজার ও আশপাশের এলাকায় ১২৮ মিলিমিটার থেকে ২৫৬ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।
অন্তত ২০০ কিলোমিটার ব্যসের এই ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম শুরুর পর পুরোপুরি স্থলভাগে উঠতে লাগতে পারে ছয় থেকে আট ঘণ্টা।
অতি ভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসেরও শঙ্কা রয়েছে।
সাগর উত্তাল থাকায় বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা, ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে।