সুনামগঞ্জে বন্যার পর ঝড়, ডুবে গেছে ত্রাণের নৌকা
প্রকাশ : ০১ মে ২০১৭, ১৬:৫৮
এ যেন মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ, অকাল বন্যার পর সুনামগঞ্জে এবার আঘাত হেনেছে কালবৈশাখী ঝড়। ৩০ এপ্রিল (রবিবার) রাতের ওই ঝড়ে আট শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সুনামগঞ্জ সদর।
রাত ১১টার দিকে শুরু হওয়া এই ঝড়ে পাঁচ উপজেলায় উপড়ে গেছে শতাধিক গাছপালা। গত দুই সপ্তাহ ওই জেলায় পাহাড় থেকে আসা ঢলে অকাল বন্যা দেখা দেয়। ডুবে যায় সব হাওর।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা। এসব উপজেলার টিনশেড বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, আধাপাকা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে।
সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগর, ঘোলঘর, নতুনপাড়া, নবীননগর, বড়পাড়া, তেঘরিয়া, আরপিননগর, মোহাম্মপুর, মাইজবাড়ি এলাকার আড়াই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ভেঙে গেছে বাড়ির সীমানা প্রাচীর, উপড়ে পড়েছে গাছপালা। পৌর এলাকার মল্লিকপুর খাদ্য গুদামঘাটে ত্রাণবাহী নৌকা ডুবে ৩৬০ বস্তা ভিজিএফ এর চাল নষ্ট হয়ে গেছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ঝড়ের আঘাতে আরো দুই শতাধিক বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে গেছে। ঝড়ে বসত ঘরের টিন কয়েকশ গজ দূরে গিয়ে পড়ে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ঝড়ে বিধ্বস্ত একাধিক এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাতে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে, এতে বেশ কিছু বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে গেছে। কিছুক্ষণ পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করব। ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি জানান।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খান জানান, রাতের ঝড়ে তার কার্যালয়ের বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। অন্য বাড়ির টিনের চাল এসে এসপির বাড়ির ভিতরে পড়েছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।