তিস্তায় ফের পাথর উত্তোলনে হুমকির মুখে ব্যারেজ (ভিডিও)
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:০৩
দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তার ব্যারাজ কমান্ড এলাকায় ফের অবাধে পাথর উত্তোলনের মহোৎসব চলেছে। পাথর উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে তিস্তা ব্যারেজটি।
অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীরা নৌকায় বোমা ও সেপ মেশিন বসিয়ে পাথর উত্তোলন করে তিস্তার উজানে কলম্বীয়া বাধ ও ব্যারেজ সংলগ্ন প্রধান গেটের ফরেস্ট বাগানে এসব পাথর আনলোড করছে।
তিস্তা নদী থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন সরকারীভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও একটি মহল দীর্ঘদিন থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন করার ফলে তিস্তার বামতীর ও ডানতীর বাধের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। বাধটিতে প্রতিদিন শত শত ট্রলি ও ট্রাক্টর চলার কারনে অধিকাংশ স্থানে নষ্ট হলেও পাউবোর নিরব ভুমিকা পালন করছে।
চরখড়িবাড়ী গ্রামের পাথর শ্রমিক সাজু মিয়া (৩০), ফরহাদ হোসেন (৪০), সহিদুল ইসলাম (৩২), আবুল কালাম (৩৮) বলেন, ময়নুল হকের নিদের্শেই পাথর উত্তোলন হচ্ছে। এ জন্য তাদেরকে পারিশ্রমিক হিসেবে প্রতিজনকে দেওয়া হয় ৩শ টাকা।
ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, পাথর উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য গোলাম রাব্বানী বলেন, যেহেতু এলাকায় থাকি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠা স্বাভাবিক।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ইলতুসমিন কবীর বলেন, পোখড়িবাড়ী ইউনিয়নে কোথাও কোন পাথর উত্তোলন করা হয় না। কিন্তু চরখড়িবাড়ী এলাকায় কিছু লোক নদীতে পাথর কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, একটি মহল তিস্তায় পাথর উত্তোলন করার বিষয়টি বিজিবি সদস্যদের অবগত করা হয়েছে। এবং যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ দীর্ঘদিনের, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই কিছু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ এমনই ভাব দেখান যেনো অভিযুক্তরা ফেরেস্তা।