‘দেশ রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য নদী বাঁচাতে হবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নদী ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, দেশ রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য নদী বাঁচাতে হবে। নদীগুলোকে বাঁচাতে সুষ্ঠু নদী ব্যবস্থাপনা আবশ্যক। দেশ রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য নদী বাঁচাতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী ২৫ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) তাঁর কার্যালয়ে ‘কম্প্রিহেনসিভ প্লান ফর স্টাবিলাইজেশন অব দ্য যমুনা-পদ্মা রিভার এন্ড পাইলট ইন্টারভেনশন ফর ল্যান্ড রিকেলামেশন’-এর ওপর এক মডেল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ভাষণে একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী নদীগুলোর ন্যাব্যতা বৃদ্ধি- নদী থেকে ভূমি পুনরুদ্ধারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এজন্য তিনি নদীগুলো থেকে অধিক উপকৃত হওয়ার ব্যাপারে নজর দিতে বলেন।

নদীকে দেশের জীবন প্রবাহ হিসেবে অভিহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, নদীর তীরে গড়ে উঠেছে সভ্যতা। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে সভ্যতার সব কিছুই গড়ে উঠেছে নদীর তীর ভূমিতে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেক নদী- নৌপথ হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যের সবচেয়ে ভাল রুট। নদীগুলো থেকে লাভবান হওয়ার আমাদের অনেক সুযোগ রয়েছে। নদীর জমি পুনরুদ্ধার হলে দেশ আরো উন্নত হবে। আমরা পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে কল-কারখানা গড়ে তুলে বসতি সম্প্রসারণ করতে পারি। ভূমি পুনরুদ্ধারের সুবাদে বিনিয়োগ ও কৃষি জমি বাড়বে এবং দারিদ্র্য নির্মূল হবে। এজন্য এই নদী সম্পদকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। নদী দেশের জীবন প্রবাহ হলেও নদী খনন ও ব্যবস্থাপনার অভাবে তা অনেক সময় দুর্দশা বয়ে আনে। এজন্য প্রথমে আমাদেরকে মূল ড্রেজিং এবং পরে প্রতি বছর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ড্রেজিং করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে কমপ্রিহেন্সিভ প্ল্যান ফর স্টেবিলাইজেশন অফ দি যমুনা-পদ্মা রিভার এন্ড পাইলট ইনভেস্টমেন্ট ফর ল্যান্ড রিক্লেমেশন’-এর আওতায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগবান্ধব জমির প্রয়োজন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, পদ্মা ও যমুনার তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানের ২ শ’ ২০ কিলোমিটার রক্ষা করা হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং নদী খনন ও সংরক্ষণের মাধ্যমে ৩ শ’ ৫০ কিলোমিটার নদীপথ রক্ষা করা হবে। নদীর প্রস্থ ১৬ কিলোমিটার থেকে ৭/৮ কিলোমিটারে নামিয়ে আনা হবে এবং এরফলে ১৬ শ’ বর্গকিলোমিটার জমি পুনরুদ্ধার হবে। প্রস্তাবিত পরিকল্পনাটি ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫ বছরে বাস্তবায়ন করা হবে। 

অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বক্তৃতা করেন। এতে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।