জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাড়ছে নারী কচ্ছপ
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:০৩
সাগর তীরের বালি আর সমুদ্রের পানির উষ্ণতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ছে নারী কচ্ছপের সংখ্যা। ঘটনাটি ঘটছে অস্ট্রেলিয়ার বৃহৎ প্রবাল প্রাচীর, গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ-এর বাসিন্দা বিশ্বের সবচেয়ে বড় কচ্ছপ প্রজাতির মধ্যে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে আসে। এমনকি ওই প্রবাল প্রাচীরটিও বেশিদিন টিকবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কারেন্ট বায়োলজিতে নামক জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, সমদ্রতটের বালুর তাপমাত্রা কচ্ছপদের ডিমের ভেতরে থাকা বাচ্চাদের লিঙ্গ নির্ধারণে প্রধান ভুমিকা পালন করে। তাপমাত্রা বেশি হলে বেশি বেশি নারী কচ্ছপের জন্ম হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) ফিশারিজ এর গবেষকরা জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের উত্তরাঞ্চল কচ্ছপের প্রজননের জন্য একটি প্রধান স্থান। সেখানে দুই লাখ কচ্ছপের ওপর এক গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডিম ফুটে প্রধানত নারী কচ্ছপ বেরুচ্ছে। ডিম নিষিক্তকরণের পর দক্ষিণাঞ্চলীয় সমুদ্রতীরের সবুজ কচ্ছপদের ৬৫ থেকে ৬৯ শতাংশই নারী।
উত্তরাঞ্চলীয় সমুদ্রতীরের তাপমাত্রা আরো বেশি হওয়ায় সেখানকার কচ্ছপদের ৮৬.৮ শতাংশ থেকে ৯৯.৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক কচ্ছপ নারী। আর কিশোর কচ্ছপদের ৯৯.১ শতাংশ নারী।
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের দ্বীপসমুহে গত দুই দশকে তাপমাত্রা এতটাই বেড়েছে যে, এখন আর এই সমুদ্রতীরগুলোতে কোনো পুরুষ কচ্ছপ জন্ম নিচ্ছে না। তাপমাত্রা বাড়ার ফলে সমুদ্রের কচ্ছপদের লিঙ্গ পরিবর্তন ঘটে এটা জানা থাকলেও এবারই বিষয়টি সরাসরি নথিভুক্ত করলেন গবেষকরা। সেই সাথে কীভাবে ফোটার আগে ডিমগুলোর জন্য শীতল পরিবেশ নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে নতুন করে গবেষণা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) ফিশারিজ এর গবেষকরা।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফি