ভারতে পাচারকালে ৪৯৪টি সুন্ধি কাছিম উদ্ধার
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:১৪
ভারতে পাচারের সময় খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে ৪৯৪টি সুন্ধি কাছিম (Spotted Flapshell Turtle) উদ্ধারসহ ৩ জনকে আটক করেছে খুলনায় বন বিভাগ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
আটককৃতরা হল পিকআপের চালক মো. মাসুম মোল্লা (৪৩) ও কাছিমগুলোর বাহক শুভদেব রায় (৩০) ও প্রদীপ কুমার বাড়ই। তাদের সবার বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়ায়।
১২ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাতে র্যাব-৬ এতে সহায়তায় বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ শাখা এসব কাছিম উদ্ধার করে। বাংলাদেশের নদীনালা ও খালে একসময় প্রচুর পাওয়া যেত এই কাছিম। এদের খোলসে ছোপ ছোপ দাগ থাকে।
বন বিভাগের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ শাখা সূত্রে জানা যায়, বরিশালের অগৈলঝাড়া থেকে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার উদ্দেশে একটি পিকআপে করে কাছিম নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে ১২ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাতে খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে পিকআপটি আটক করা হয়। কাছিমগুলো বস্তা ও প্লাস্টিকের বড় ড্রামে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেছেন, আগৈলঝাড়ার বাসিন্দা উত্তম কুমারের কাছ থেকে কাছিমগুলো নিয়ে তারা পাটকেলঘাটার গৌরাঙ্গ নামের একজন ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। এগুলো পরে ভারতে পাচার করা হতো।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মদিনুল আহসান বলেন, সুন্ধি কাছিম বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন (২০১২)–এর সিডিউলভুক্ত প্রাণী। কাছিমগুলো খুলনার বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে এই প্রাণীগুলোকে অবমুক্ত করা হবে।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, উদ্ধার করা সুন্ধি কাছিমগুলোর ওজন আনুমানিক চার মণের মতো হবে। সবচেয়ে ছোটটির ওজন ৫০০ গ্রাম। এখানে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি ওজনের কাছিম আছে।