ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ‘ইরমা’র তাণ্ডব, নিহত ১৪
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:৩০
ক্যারিবীয় অঞ্চলে একের পর এক দ্বীপকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পাঁচ মাত্রার হারিকেন ইরমা। ওই দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে ‘ইরমা’র তাণ্ডবে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ক্যাটাগরি ৫ বা চরম শক্তিশালী ঝড়ে রূপ নেওয়া হারিকেনটি ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) হাইতিতেও তাণ্ডব চালিয়েছে। আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ঝড়টির পরবর্তী গন্তব্য কিউবা। এরপর সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আঘাত হানতে পারে ইরমা।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ঘণ্টায় ১৮৫ মাইল বেগে ক্যারিবীয় দ্বীপগুলোতে আঘাত হানে শক্তিশালী হারিকেনটি। ইরমা শুরুতেই আঘাত হানে এন্টিগুয়া ও বারবুডায়। তারপর যায় ফরাসীদের কাছে অবকাশ যাপনের সবচেয়ে জনপ্রিয় দ্বীপ সেন্ট মার্টিন ও সেন্ট বার্টসের দিকে। এই দুটি দ্বীপে আঘাত হানার আগে ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতি ছিল ঘন্টায় ৩০০ কিলোমিটার। ফরাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ঝড়ের কারণে বন্যা হয়েছে এবং দ্বীপের ভবনগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ইরমার কারণে ক্যারিবিয় দ্বীপগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এন্টিগুয়া ও বারবুডার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাদের দেশে ঝড়ে অন্তত একজন নিহত হয়েছে আর দেশটির প্রায় ৯০ শতাংশ ভবনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ঘণ্টায় ১৭৫ মাইল বেগে ঘূর্ণিঝড়টি ডমিনিক প্রজাতন্ত্র, হাইতি এবং টার্কস এন্ড কাইকোস দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানে। ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার ঘোষিত ৫ ক্যাটাগরির শক্তিশালী ঝড় হিসেবেই এখনও এগিয়ে যাচ্ছে হারিকেনটি।
ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, সেন্ট মার্টিন ও সেন্ট বার্টস-এ ক্ষতির মাত্রাটা ব্যাপক। বারবুডায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এন্টিগুয়া ও বারবুডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ব্রাউনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পশ্চিম এলাকা থেকেও অনেককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং এই ঝড়ের প্রভাবে সেখানে ব্যাপক ভূমিধ্বসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।