হুমকিতে তিস্তা ব্যারেজ, ডুবে গেছে ঘরের চালা
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০১৭, ০২:৩৭
![](https://bangla.jagoroniya.com/templates/jagoroniya-v1/images/jagoronia.png)
![](/assets/news_photos/2017/08/15/image-10833.jpg)
দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা নদীতে উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণ থামছে না। ক্ষতির বার্তা যেনো বয়ে আসছে পানির শব্দে। তছনছ হয়ে গেছে নদী বেষ্টিত পুরো এলাকা।
গত শনিবার রাত ১০টায় রেড অ্যালার্ট জারি করে তিস্তা অববাহিকায়। টানা বর্ষণ ও তিস্তা নদীর পানিতে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর, কিশোরীগঞ্জ, জলঢাকা, ডোমার- ডিমলাসহ ৬ উপজেলার লাখো পবিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। শত শত হেক্টর রোপা আমনের ফসল গত কয়েকদিন যাবত পানিতে তলিয়ে রয়েছে। তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাটের সবকটি খুলে রেখেও ভয় কাটছে না।
রবিবার সকাল ৬টা হতে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারী ডিমলার ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০) ৬৫ সেন্টিমিটার (৫৩ দশমিক ০৫) উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা বিকেল ৩টায় বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ও রাত ১০টা থেকে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে থাকে। এ এলাকায় এবারের বন্যায় ৮টি বাঁধ ইতোমধ্যে ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়েছে। পানিবান্দি হয়ে পড়েছে সেইসব এলাকার মানুষজন।
উজানে ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের ৫৪টি গেট খুলে দেওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।
ব্যারেজ রক্ষার্থে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাগণ সকাল ১০টা থেকে কয়েকদফা ফ্লাড বাইপাস কেটে ওপেন করতে গেলে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলা এলাকার মানুষজনের বাঁধায় তা সম্ভব হয়নি।
এদিকে ব্যারাজের উজানের নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন এখন প্রায় তছনছ হয়ে গেছে। কয়েক শতাধিক পরিবারকে পানির স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক মোহম্মদ খালেদ রহীম জানিয়েছেন, উজানের ঢল ও টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জেলাজুড়ে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য রবিবার ১৮০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকায় আরও ১০ লাখ টাকা ২শ ২৫ মেট্রিক টন চাল ও ৫ হাজার শুকনা খাবারের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।