উজানের ঢল ও টানা বর্ষণে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০১৭, ২০:১৪
উজানের ঢল ও গত তিন দিনের টানা বর্ষণে নীলফামারীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে শত শত হেক্টর রোপা আমনের ফসল হাটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার কারণে মৎস্যচাষীদের সব হারিয়ে মাথায় হাত।
তিস্তার পাশাপাশি বুড়ি তিস্তা, কুমলাই, দেওনাই, চুড়ালকাটা ও নাউতরা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর দু’পাশে বসবাসরত শত শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
উজানের ঢলে ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার সকাল ৬টা হতে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টের তিস্তা ব্যারাজে নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ (বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ মিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিকাল ৩টায় বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্রে সূত্র জানায়, গত ৩ দিনে বৃষ্টি হয়েছে ৪৫৪ মিলিলিটার। ৯ আগস্ট (বুধবার) ১৫৮ মিলি, ১০ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) ১৬৪ মিলি ও ১১ আগস্ট (শুক্রবার) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৩২ মিলিলিটার।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ীতে তিস্তার নদীর ডান তীরে তৈরি করা ২ কিলোমিটার মাটির বাঁধটি ইতোমধ্যে ৫শ মিটার নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গ্রামটিতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
অপরদিকে বুড়ি তিস্তা. নাউনতরা ও কুমলাই নদীর পানি বৃষ্টির কারনে রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নাউতরা ইউনিয়নের নাউতরা নদীর বাশের সাকো ভেঙ্গে পড়ার এলাকাবাসীকে চরম দুভোগে পড়তে হচ্ছে।
নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহিনুর আলম ও ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম ডিমলার বন্যা কবলিত এলাকার পরিদর্শন করেন।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে ডিমলাসহ আশেপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান বলেন, তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে শুক্রবার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে থাকলেও বিকাল
৩টা তা আরো ২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিপাত অব্যহত রয়েছে।