হিলারির পক্ষে বিয়ন্সে
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০১৬, ১২:১২
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর ক্লিভল্যান্ডের ওলসটেইন সেন্টার। এখানে আয়োজন করা হয়েছে মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের প্রচার অনুষ্ঠানের। লম্বা লাইন এ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে গেছেন অনুষ্ঠানে। উপভোগ করেছেন জমজমাট কনসার্ট। হিলারি ক্লিনটনও এসেছিলেন শেষ পর্যন্ত।
শনিবার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল আটটায় শেষ হয় কনসার্টটি। জে জেড, চান্স দ্য র্যাপার, বিগ সিয়েন কনসার্ট করবেন—এক সপ্তাহ আগেই সে কথা সবার জানা হয়ে যায়। বিয়ন্সেকে মঞ্চে দেখে করতালিতে ফেটে পড়েন শ্রোতা-দর্শকেরা।
গ্র্যামি আওয়ার্ড-জয়ী গায়িকা বিয়ন্সে আগামী মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দেশের সব নাগরিককে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান। বিয়ন্সে বলেন, ‘আমার ভাগনে উজ্জ্বল কালো রঙের শিশু। সে এই বিশ্বাস নিয়ে বড় হয়েছে যে একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। আমি এত উজ্জীবিত বোধ করি! আমি চাই আমার মেয়েও এ কথা জেনে বড় হোক যে যু্ক্তরাষ্ট্রে একজন নারী প্রেসিডেন্ট আছেন।’
জে জেড ও বিয়ন্সের একটি দ্বৈত সংগীতের পর মঞ্চে ওঠেন হিলারি ক্লিনটন। কানায় কানায় পূর্ণ মিলনায়তনে তখন মুহুর্মুহু করতালি আর আনন্দের চিৎকার। হিলারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামও উচ্চারণ করেননি তাঁর বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘রোসা পার্ক বসে গিয়েছিলেন বলেই মার্টিন লুথার দাঁড়াতে পেরেছেন, হেঁটেছেনও। মার্টিন লুথার হাঁটতে পেরেছিলেন বলেই, ওবামা দৌড়াতে পেরেছেন। ওবামা দৌড়াতে পেরেছেন বলেই শিশুরা এখন ওড়ার স্বপ্ন দেখছে। আমাদের কিছু কাজ এখনো বাকি।’
যে সময় হিলারি ক্লিনটন তরুণদের দলে টানতে এমন একটি কনসার্টে হাজির; ঠিক সে সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সমাবেশে হিলারির কড়া সমালোচনা করেছেন। সিএনএন বলছে, ট্রাম্প বলেন, ‘আমার জে লো, জে জেড কাউকে লাগে না। আমি আমিই। গিটার লাগে না। আমার গিটার বা পিয়ানো কোনোটারই দরকার নেই।’
তরুণ ভোটারদের দলে টানতেই তরুণদের কাছে গ্রহণযোগ্য তারকাদের নিয়ে প্রচার শুরু করেছেন হিলারি।
সিএনএন বলছে, জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা বিয়ন্সে বেশ আগে থেকেই ডেমোক্র্যাটদের সমর্থক। তবে জে জেড হিলারির পক্ষে দাঁড়াতে বেশ কিছুটা সময় নিয়েছেন। বিয়ন্সে ২০১৫ সালে হিলারির জন্য তহবিল গঠন অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে গান করেন।