‘শিক্ষায় বাজেট বরাদ্দ বাড়বে’

প্রকাশ : ০৭ মে ২০১৬, ২০:০৪

জাগরণীয়া ডেস্ক

আগামী বাজেটে (২০১৬-১৭)শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়বে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।

শনিবার (০৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযানের (সুপ্র) আয়োজনে ‘প্রাক-বাজেট আলোচনা ২০১৬-১৭’ শীর্ষক সভায় একথা জানান তিনি।

সভায় শিক্ষায় বাজেট বাড়ানোসহ দেশের সুষম উন্নয়নে কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে জনমতের ভিত্তিতে আগামী অর্থবছর (২০১৬-১৭) থেকে জনগণের অংশগ্রহণমূলক ‘জেলা বাজেট’ প্রণয়নের দাবি জানায় সুপ্র। এসময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে সুষম উন্নয়নমূলক দেশ গড়ার লক্ষ্যে আসন্ন বাজেটকে দরিদ্রবান্ধব, বাস্তবায়নযোগ্য, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক এবং জেন্ডার সমতাভিত্তিক করার দাবিও জানানো হয়।

বাজেটের ব্যাপারে সরকার স্বচ্ছ উল্লেখ করে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষায় ব্যয় প্রচুর, কিন্তু কাজ হচ্ছে কম।

সুশীল সমাজের প্রতি তিনি বলেন, সঠিক জায়গায় ব্যয় হচ্ছে কি-না তা তুলে ধরুন। বাজেট জনগণের দাবি অনুযায়ী দরিদ্রবান্ধব হবে। সরকার বাস্তবে দরিদ্রদের জন্য কাজ করছে।

প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সুপ্র’র সদস্য এম এ কাদের।

তিনি বলেন, আমাদের বাজেট কেন্দ্রীয়ভাবে প্রণয়ন, বরাদ্দ, নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। কেন্দ্র থেকে অনেক ক্ষেত্রেই আঞ্চলিক প্রয়োজনের পরিমাণ ও প্রকৃতি বোঝা যায় না। এছাড়া সব উপজেলার জন্য সমান বাজেট বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু জেলা-উপজেলার প্রকৃতি, জনসংখ্যা ও অন্য নির্দেশক এক নয়। তাই বাজেট বরাদ্দ ও এলাকাভিত্তিক বণ্টনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করা প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, চলতি অর্থবছরের (২০১৫-১৬) বাজেটে স্থানীয় সরকারকে পরিকল্পনা ও বাজেটে প্রণয়নের উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত  করার জন্য প্রতি জেলার জন্য একটি থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে আমরা আগে থেকেই লক্ষ্য করছি, এ থোক বরাদ্দ ব্যয়ে স্বচ্ছতার যথেষ্ট অভাব থাকে। এক্ষেত্রে থোক বরাদ্দসহ সকল ব্যয় ব্যবহারে জবাবদিহিতা আরও জোরদার করতে হবে।

আমরা মনে করি, দেশের সুষম উন্নয়নের জন্য থোক বরাদ্দ কোনো সমাধান নয়। তাই কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে জনমতের ভিত্তিতে আগামী অর্থবছর (২০১৬-১৭) থেকে জন অংশগ্রহণমূলক জেলা বাজেট প্রণয়নের দাবি জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত