‘দেশের অর্থনীতি ইতিবাচক ধারায় পরিচালিত হচ্ছে’
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০১৭, ১৫:২৮
২০১৬-১৭ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, সম্পদের সঠিক ব্যবহারের ফলে দেশের অর্থনীতি ইতিবাচক ধারায় পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা সম্ভব।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে মোট বরাদ্দ ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার মধ্যে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সংশোধিত বাজেটে এ টাকা চাওয়া হয়েছে।
৫ জুন (সোমবার) জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সামরিক সরকার জিয়াউর রহমানের মতো বর্তমান সরকার যথেচ্ছা খরচ না করে যেখানে যা প্রয়োজন তাই করেছেন। এটাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বৈশিষ্ট্য। তিনি জিয়াউর রহমানের মতো বলেন নাই, ‘মানি ইজ নো প্রোবলেম’। তিনি প্রতিটি পয়সা চিন্তা করে খরচ করেন। সরকার ইচ্ছা করলে সব মন্ত্রণালয়ে সব টাকা খরচ করতে পারতো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা-ভাবনা সেটা নয়। অর্থমন্ত্রী অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের হ্রাস টেনেছেন তবে যেখানে যেটা প্রয়োজন সেটা খরচ করতে কার্পণ্য করেননি।
২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য ১৮ হাজার ৩৭০ কোটি ২২ লাখ টাকা অতিরিক্ত মঞ্জুরির দাবি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি এই ২৭টি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২৭টি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ১ লাখ ১১ হাজার ৮৬০ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর মোট ব্যয় ১ লাখ ৩০ হাজার ২৩০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ মঞ্জুরী দাবি ১৮ হাজার ৩৭০ কোটি ২২ লাখ টাকা।
মন্ত্রী বলেন, মঞ্জুরি দাবিগুলো সব যৌক্তিক। দাবিগুলো বিবেচনার যথেষ্ট ক্ষেত্র আছে এবং এগুলো বিবেচনা করা যায়।
হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার বাজেটকে অভিনন্দন জানিয়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট বিষয়ে বলেন, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা আদায় হয়েছে। এটি সর্বকালের সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়। বছরের শুরু থেকে সমতাভিত্তিক রাজস্ব আদায়ে উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারের গতিশীল নেতৃত্বে এ বছর এডিবির শতভাগ ব্যয় করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বাজেটে ভ্যাটের আওতা কমিয়ে আয়করের আওতা আরো বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। তাহলে এদেশের মানুষের মনে স্বস্তি আসবে। সৌরশক্তির ব্যবহার এখনো ভাল অবস্থানে পৌঁছেনি উল্লেখ করে তিনি স্যোলার প্যানেল থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ব্যাংক আমানতে আবগারী শুল্ক তিনি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার দাবি জানান। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহের জন্য তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান।
সরকারি দলের সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম মিলন, সেলিম উদ্দিন, স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী সম্পূরক বাজেট আলোচনায় অংশ নেন।