সুন্দরবনের কাঁকড়া এখন বিশ্ববাজারেও
প্রকাশ : ০৩ মে ২০১৭, ০০:০৩
সুন্দরবনের কাঁকড়া যাচ্ছে বিশ্ববাজারে। আর তাই আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা থাকায় কাঁকড়া চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন মংলাসহ সুন্দরবনের আশপাশ এলাকার চাষিরা। এ অঞ্চলের চাষিরা পুকুর, ডোবা ও খালে ব্যাপক হারে কাঁকড়া চাষ করতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে তারা কাঁকড়া চাষে সফলতাও পেয়েছেন।
সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও কাঁকড়া চাষিদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো সূত্র জানায়, সুন্দরবনের কাঁকড়া চাষিদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পারলে প্রতি বছর এ খাত থেকে কয়েকশ’ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতি বছর আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁকড়ার চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি দামও বাড়ছে। আষাঢ় থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত কাঁকড়ার মৌসুম। এসময় সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার সহস্রাধিক জেলে বনবিভাগ থেকে নির্দিষ্ট রাজস্বের বিনিময়ে পারমিট সংগ্রহ করে সুন্দরবনে কাঁকড়া সংগ্রহ করতে যান। গহীন সুন্দরবনসহ সাগর মোহনা থেকে জেলেরা কাঁকড়া সংগ্রহ করেন। এছাড়া উপকূলীয় মংলা, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার দেড় লক্ষাধিক হেক্টর চিংড়ি ঘেরে প্রাকৃতিকভাবেই কাঁকড়া উৎপন্ন হয়।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সাইদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ১১ প্রজাতির কাঁকড়া পাওয়া যায়। এর মধ্যে মাইলা, হাব্বা, সিলা ও সেটরা কাঁকড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে বলে জানা গেছে।
তথ্যমতে, ২০০২-০৩ অর্থ বছরে কাঁকড়া রপ্তানি হয়েছে ২ দশমিক ৫২ মিলিয়ন ডলারের ৬৩০ মেট্রিক টন, ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে আয় গিয়ে দাঁড়ায় ১৪৬ মিলিয়ন ডলারে। এভাবে পর্যায়ক্রমে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে এর আয় পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেড়ে য়ায়।