প্রান্তিক পর্যায়ে সেবা পৌঁছাতে ‘পোস্ট অফিস ব্যাংক’
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০১৬, ২২:২০
ডাক বিভাগের গতি ফিরিয়ে আনতে এবং প্রান্তিক পর্যায়ে সেবা পৌঁছে দিতে ‘পোস্ট অফিস ব্যাংক’ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলিস্তানে জেনারেল পোস্ট অফিসে (জিপিও) এক সভা শেষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ তথ্য জানান।
ব্যাংকিং সেবার বাইরে প্রান্তিক পর্যায়ে যে জনগোষ্ঠী আছে তাদের পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সেবা দেওয়াই এর মূল লক্ষ্য জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, “আমাদের ৯ হাজার ৮৮৬টি ডাকঘর আছে। প্রত্যন্ত এলাকায় পোস্ট অফিস পৌঁছে গেছে। অন্য কোনো প্রাইভেট সেক্টরে এটা কল্পনা করাও সম্ভব নয়।”
এসময় পল্লী ব্যাংকের আদলে পোস্ট অফিস ব্যাংকিং এর কাজ শুরু করার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, “আগামী ২৬ জুন অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠক রয়েছে। সে বৈঠকে এ ব্যাংক শুরুর অনুমোদন নিয়ে আলোচনা করা হবে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মন্ত্রীকে অনুরোধ জানাবো পোস্ট অফিসের ব্যাংকিংটা যেন অনুমোদন দেওয়া হয়। যার মাধ্যমে ব্যাংকের মত কার্যক্রম করতে পারি। আমাদের (পোস্ট অফিসের) যে এফডিআর আছে সেগুলো দিয়ে যেন মাইক্রো ক্রেডিট শুরু করতে পারি। পোস্ট অফিস থেকে মাইক্রো ক্রেডিট শুরু করলে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে”।
তারানা হালিম বলেন, “ডাকঘর এই সার্ভিসটা দেওয়া শুরু করলে মানুষ এখানে সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে পারবে, টাকা তুলতে পারবে, জমা দিতে পারবে, তার জন্য সহজ হয়ে যাবে। কারণ দরজার কাছেই এই সেবা। এটাকে আমি বিস্তৃত করতে চাই। ইতোমধ্যে আছে, বিস্তৃত করার জন্য অনুমোদন নিতে হবে।”
তিনি জানান, ডাক বিভাগকে বেসরকারি কুরিয়ার ও পার্সেল সার্ভিসের সঙ্গে ‘প্রতিযোগিতায় নিয়ে আসতে’ আগামী এপ্রিলের মধ্যে পোস্ট অফিসের ১১৮টি গাড়ি চালু হবে। কুরিয়ার ও পার্সেল সার্ভিসের জন্য এসব গাড়িতে ২০ শতাংশ নারী চালক থাকবে।
ডাক বিভাগে বিজ্ঞাপন বাবদ বছরে মাত্র দুই লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী তারানা বলেন, “বিজ্ঞাপনের এই টাকা দিয়ে ডাক বিভাগের প্রচারণা বা কী কী সেবা দেওয়া হচ্ছে- তা জানানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।”
এখন থেকে প্রতি বৃহস্পতিকার ডাক বিভাগের অধীন রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোতে যাবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “কোনো বিভাগের প্রতি বিমাতাসূলভ আচরণ করতে চাই না। ডাক বিভাগ, টেসিস, টেলিটক, বিটিসিএলে মাসে একদিন করে অফিস করব।”