বাজেটের ২৫% নারীর ক্ষমতায়ণে ব্যয় করার প্রস্তাব
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০১৮, ১১:৫৫
মোট বাজেটের ২৫% নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য ব্যয় করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
৭ জুন (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের উন্নয়নের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক লাখ ৩৭ হাজার ৭৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। যা মোট বাজেটের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি।
এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজস্ব বাজেট থেকে অর্থায়িত ২৫টি কর্মসূচির মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। নারীদের আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য ঘূর্ণায়মান আকারে ৬৪টি জেলার ৪৮৮টি উপজেলায় মাথাপিছু ৫ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ৬৪টি জেলার ৪৯০টি উপজেলায় ১ কোটি গ্রামীণ সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জন্য তথ্য-প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার ও তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক সেবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধে ৬৪টি জেলার ৪৮৯টি উপজেলায় ৫ হাজার ২৯২টি ক্লাবের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা এবং সহিংসতা রোধকল্পে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ১ দশকে নারী শিক্ষার ব্যপক অগ্রগতি হলেও সে তুলনায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ এহনও অনেক পিছিয়ে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও শহরাঞ্চলে তা কিছুটা কম।
তিনি বলেন, যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং আবাসন, সন্তানদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র, নারী-বান্ধব গণপরিবহন ইত্যাদি সুবিধার মাধ্যমে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর উৎপাদন সম্ভাবনার পূর্ণ ব্যবহার করতে আমরা প্রতজ্ঞাবদ্ধ। এসময় তিনি দশ বছর ধরে পরিচালিত জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন উদ্যোগকে মূল্যায়নের লক্ষ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রণয়নের কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। এ কমিটি সকল উদ্যোগকে যাচাই বাছাই করে কীভাবে তা উন্নীতকরণ ও সংস্কার করা যায়, সে বিষয়ে প্রস্তাব দিবে।
অর্থমন্ত্রীর দেয়া এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ২০০৯ সালে ছিল ৫৪.৩ শতাংশ, ২০১৬ সালে তা ৬৯.৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ ২০১০ সালের পরে তেমন বাড়েনি; ২০১০ সালের ৩৬.০ শতাংশের তুলনায় সাত বছরে বেড়েছে নগণ্য ০.৩ শতাংশ।