রোহিঙ্গাদের সহায়তায় জাপানের ১৫.৭ মিলিয়ন ডলার অনুদান

রোহিঙ্গা নারী-শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানীয়দের মানবিক সহায়তায় জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ১৫.৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা পেয়েছে। ৮ মে (মঙ্গলবার) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাপানের কাছ থেকে এই সহায়তা পেয়েছে বলে জানায় ইউনিসেফ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, রোহিঙ্গাদের ব্যাপক অনুপ্রবেশের কারণে ঝুঁকির মুখে পড়া স্থানীয়দের জরুরী সহায়তার বিষয়টি অনুধাবন করেই জাপান এই সহায়তার সিদ্ধান্ত নেয়। এই অনুদান রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের জন্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সহায়তায় ইউনিসেফ ও এর অংশ সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে সহায়ক হবে বলে জানানো হয়। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করা এবং তাদের সামর্থ্য বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এ ব্যাপারে ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেইগবেডার সংকটের প্রথম ৬ মাসে প্রয়োজনীয় সহায়তার প্রশংসা করেন এবং অনুদানের জন্য জাপান সরকার ও জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এদিকে ইউনিসেফ ও এর অংশ সংস্থাগুলো এরই মধ্যে ১৫ হাজার শিশুকে অপুষ্টি, ১ লাখ ৪২ হাজার ৩শ’র অধিক শিশুকে মানসিক সহায়তা, ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৯৮২ শিশুকে হামের টিকা ও ৪ লাখ ৩১ হাজার ৪৪৮ শিশুকে ডিপথেরিয়া এবং ৭ লাখ ৪৮৭ জন বয়স্ক মানুষকে কলেরার চিকিৎসা দিয়েছে। ইউনিসেফের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমে ৫ বছরের নিচে ৫৩ হাজারেরও বেশি শিশুকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে ২০১৮ সালে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় ইউনিসেফ ১৪৪.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আবেদন জানিয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৩০ শতাংশ অনুদান পাওয়া গেছে। আরও ১০০.৮ মিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্যে ইউনিসেফ বর্তমানে দুই লাখ ৯১ হাজার ৭০০ জন রোহিঙ্গাদের নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। এছাড়া প্রায় ৯০ হাজার শিশুদের আক্ষরিক জ্ঞান দিতে ইউনিসেফের ৮৬০টি শিক্ষা কেন্দ্র কাজ করে যাচ্ছে।