দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে পটুয়াখালীতে

প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:১৫

জাগরণীয়া ডেস্ক

জার্মান ভিত্তিক সিমেন্স এজি পটুয়াখালীর ধানখালীতে ২০২১ সাল নাগাদ ৩৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং জার্মান ভিত্তিক সিমেন্স এজি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তিনটি ইউনিটে ২০২১ সাল নাগাদ মোট ৩৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।

৫ নভেম্বর (রবিবার) বিদ্যুৎ ভবনে এনডব্লিউপিজিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার খুরশীদ আলম এবং সিমেন্স সাউথ এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুনীল মাথুর নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. টমাস প্রিনজ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ খাতের আধুনিক যন্ত্রপাতি চালনার জন্য দক্ষ করে তুলতে কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য সহায়ক হবে।

তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভবিষ্যতে কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আয়োজনের অনুরোধ জানান।

নসরুল হামিদ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিনিয়োগকে জার্মানির একক বৃহত্তম বিনিয়োগ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ২.৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ এবং ৪০০ মিলিয়ন ডলার ইকুয়িটিসহ এতে আনুমানিক ব্যয় দাঁড়াবে ২.৮ বিলিয়ন ডলার।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি আস্থা প্রদর্শন করে জার্মান সরকার এই বৃহত্তম বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশে জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. টমাস প্রিনজ বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে জার্মান সরকার বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা বাংলাদেশের একটি নির্ভরযোগ্য উন্নয়ন অংশীদার হতে আগ্রহী এবং জার্মান বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের একক বৃহত্তম ক্রেতা। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ সফর করবেন।

0Shares
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত