চাল আমদানিতে পাটের বস্তার বাধ্যবাধকতা স্থগিত
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:৪৩
চালের ঘাটতি মেটাতে ব্যবসায়ীদের যেভাবে সম্ভব উন্মুক্তভাবে চাল আমদানির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পাটের বস্তায় চাল আমদানিতে সরকারি বাধ্য বাধকতা আপাতত ৩ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
১৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের একাধিক মন্ত্রণালয়ের যৌথ বেঠক হয়। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বন্যার কারণে সরকারের ধান চাল সংগ্রহ অনেক কম হয়েছে। এছাড়া চাল আমদানির শুল্ক কমানো হয়েছে অনেক দেরিতে। যে কারণে এই সঙ্কট তৈরি হয়েছে। সঙ্কট কাটাতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আপনারা (ব্যবসায়ীরা) যেভাবে সম্ভব চাল আমদানি করেন।
বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্য সচিব মোহাম্মদ কায়কোবাদ, বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী, খোরশেদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন- চাল সংরক্ষণ ও পরিবহনে বাধ্যতামূলকভাবে পাটের বস্তা ব্যবহারের কারণে চালের দাম বেড়ে যাচ্ছে। চটের বস্তার কারণে প্রতি কেজিতে এক টাকা খরচ বাড়ে। কিন্তু প্লাস্টিকের বস্তা অনেক সাশ্রয়ী। প্লাস্টিকের বস্তায় খরচ হয় মাত্র ১৫/১৬ পয়সা। যদি চটের বস্তা ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা স্থগিত করা হয় তবে আমদানিতে প্রতি কেজি চালের দাম দুই টাকা কমবে।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এখনই চটের বস্তায় চাল আমদানির সরকারি বাধ্যবাধকতার সিদ্ধান্ত আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হল। এখন যে যেভাবে পারেন চাল আমদানি করেন। আমরা এনবিআর ও কাস্টমসকে বলে দিচ্ছি। কেউ বাধা দেবে না। প্লাস্টিকের বস্তাসহ ব্যবসায়ীরা যে যেভাবে খুশি চাল পরিবহন করতে পারবেন।
‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ অনুযায়ী ধান-চাল পরিবহন ও সংরক্ষণে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে সরকার।