কবিতা
একটি মুখরোচক কবিতা
প্রকাশ : ০১ মে ২০১৭, ১৮:৩০
ওরা ফুটপাথে সংসার করে
ছেঁড়া শাড়ি মেলা থাকে দোকানের কলাপসিবল গেটে
কখনো বা মাটির হাঁড়িতে রান্না হয় ভাত
আগুন দুপুরে হাভাতের দল গন্ধ টানে প্রাণপন
রাস্তার কলে অর্ধনগ্ন হয়ে বেপরোয়া চান করে ওরা।
কিশোরী মেয়েটি কোথা থেকে গন্ধতেল এনে চুপিসারে মেখে নেয় জটপড়া চুলে
বিকেলবেলায় তাকে কে যেন ডেকে নিয়ে যায় সিনেমাহলের অন্ধকারে
কাঁচের চুড়ির ভালবাসা ভেঙে বিঁধে যায় হাতে।
সস্তার মদ গিলে মাঝরাতে ফিরে আসে মদ্দ
বেদম ঠ্যাঙায় তার বউকে
তারপর আরো রাত হলে দুটি ছায়া গাঢ় হয়ে মিশে যায় ফুটপাথে
রাতের পুলিশ ল্যাম্পপোস্ট-এ রুলের গুঁতো মেরে দাঁত বার করে হাসে
মাত্র একশো টাকায় দেখায় রাতের কলকাতা !!
এরপর দিন ওরা পেটভরে ভাত খায়
এ ওর উকুন বাছে- হেসে গড়িয়ে পড়ে।
ওরা ফুটপাথে সংসার করে
ওখানেই খিদে আর প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করে
ওদের রক্তস্রোত টপকে যায় ভদ্রলোকের পবিত্র জুতো
পা ছড়িয়ে বাচ্চাটাকে দুধ দেয় ক্লান্ত নোংরা মেয়েটা
পথচলতি দাদারা আড়চোখে দেখে,
মেয়েটা হাই তোলে।
আরেকটা পেটচালানোর উপায় সহজ হয়ে যায় তার কাছে
বাচ্চাকে আদর করতে করতে বলে ওঠে- "শুয়োরের বাচ্চা" !!
এই পিতৃপরিচয়ে ওরা বেঁচে থাকে !!
এই পিতৃপরিচয়ে ওরা মরে থাকে !!
সেই ফুটপাথে !!