আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেলো ‘ছায়ানট’
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:০৫
![](https://bangla.jagoroniya.com/templates/jagoroniya-v1/images/jagoronia.png)
![](/assets/news_photos/2019/02/19/image-18215.jpg)
বাংলাদেশের নন্দিত সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় সম্প্রীতি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ভারতের সম্মানজনক আন্তর্জাতিক ‘টেগোর অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) নয়াদিল্লির প্রবাসী ভারতীয় কেন্দ্রে আয়োজিত এক জাঁকালো অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন ছায়ানটের সভাপতি ড. সনজীদা খাতুন।
অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণের পর সনজীদা খাতুন বলেন, ছায়ানটকে পুরস্কৃত করার মাধ্যমে ভারত এই সাংস্কৃতিক সংগঠনকে কৃতজ্ঞতার ঋণে আবদ্ধ করলো। এই সম্মাননা ছায়ানটকে তার প্রগতিশীল কার্যক্রমে আরও অনুপ্রাণিত করবে।
ছায়ানটের সভাপতি ড. সনজীদা খাতুনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ড. মহেশ শর্মা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির মূল্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভারত সরকার ২০১১ সালে পুরস্কারটি প্রবর্তন করে। ২০১২ সালে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি সেতারশিল্পী রবিশংকরকে দিয়ে এ পুরস্কার প্রদান শুরু করেন। ২০১৩ সালে সঙ্গীতজ্ঞ জুবিন মেহতাকে ভূষিত করা হয়। এ পুরস্কারের অর্থমূল্য এক কোটি রুপি।
১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত ছায়ানটের রয়েছে রবীন্দ্রচর্চাসহ নানা সাংস্কৃতিক কাজের গৌরবময় ঐতিহ্য। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও ছায়ানট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তৎকালীন পূর্ব পাকিন্তানে রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ হলে, ছায়ানট রবিঠাকুরের গানের সুর এবং রচনার মাধ্যমে উদার অভিব্যক্তি প্রচার করতে থাকে গোপনে।
প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ এবং ভারত, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও অনুধাবনের ক্ষেত্রে একটি ঘনিষ্ঠ সেতুবন্ধনের কাজ করেছে।