‘নৃত্যে-ছন্দে ভাঙি পাথর-সময়’
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০১৮, ১৫:২৫
‘নৃত্যে-ছন্দে ভাঙি পাথর-সময়’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে শুরু হলো বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত নৃত্য উৎসব-২০১৮।
রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে গত ৪ জুলাই বুধবার বিকাল ৫টায় দু’দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন রাজশাহীর বরেণ্য নৃত্যগুরু বজলুর রহমান বাদল।
উদ্বোধনী আলোচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, নৃত্যগুরু লায়লা হাসান এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতনামা নৃত্য গবেষক ড. মহুয়া মুখার্জী। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক এএন রাশেদা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইকবালুল হক খান।
অনুষ্ঠানে গণসঙ্গীতের প্রবাদ পুরুষ হেমাঙ্গ বিশ্বাসের অমর সৃষ্টি ‘শঙ্খচিল’ গানের সঙ্গে উদীচীর নৃত্যশিল্পীদের পরিবেশনা। গুলশান শাখার শিল্পীরা পরিবেশন করেন আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা নৃত্য। কন্যাশিশুর অধিকার বিষয়ক বিশেষ নৃত্য পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসে নন্দন কলাকেন্দ্র। এরপর ছিল উদীচী নারায়ণগঞ্জ জেলা সংসদের পরিবেশনা। বিশিষ্ট নৃত্যগুরু লায়লা হাসানের দল নটরাজের শিল্পীরা পরিবেশন করেন ‘লাঞ্ছিত নিপীড়িত জনতার জয়’ গানটির সাথে নাচ।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দু’টি গানের সাথে নাচ পরিবেশন করে নৃত্যনন্দন। গান দু’টি হলো- “যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে” এবং “আমার মুক্তি আলোয় আলোয়”। এরপর উদীচী গোপালগঞ্জ জেলা সংসদের শিল্পীরা পরিবেশন করেন পল্লীকবি জসিমউদ্দিনের অমর সৃষ্টি ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ শীর্ষক নৃত্যনাট্য। এ পর্বটি সঞ্চালনা করেন মিজানুর রহমান সুমন ও অনিতা দাশ।
উৎসবের দ্বিতীয় দিনের আয়োজন
উৎসবের দ্বিতীয় দিন ৫ জুলাই, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় শুরু হবে আলোচনা পর্ব। এতে অংশ নেবেন নৃত্যগুরু আমানুল হক, মিনু হক, শর্মিলা বন্দোপাধ্যায় ও তামান্না রহমান। বক্তব্য রাখবেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন। আলোচনা পর্বের পর পরিবেশিত হবে সাঁওতাল বিদ্রোহের স্মরণে নির্মিত নৃত্যনাট্য ‘সিধু-কানুর পালা’।
উদীচীর নৃত্যশিল্পীদের পরিবেশিত নৃত্যনাট্যটি নির্দেশনা দিয়েছেন ড. মহুয়া এছাড়াও, আবহমান বাংলার নানা বৈচিত্র্যপূর্ণ নৃত্যশৈলী নিয়ে মঞ্চে উপস্থিত হবেন বিভিন্ন নৃত্য সংগঠন ও দল।