কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে উদীচী’র সত্যেন সেন গণসঙ্গীত
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০১৮, ২১:২০
ঐক্যের সুরে সাম্যের গান বাঁধার প্রত্যয় নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত তিন দিনব্যাপী “সত্যেন সেন গণসঙ্গীত উৎসব ও জাতীয় গণসঙ্গীত প্রতিযোগিতা-২০১৮”।
২৮ মার্চ শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। ২৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ছিল উৎসবের দ্বিতীয় দিন। এদিন বিকাল ৫টায় শুরু হয় ‘উদীচীর সুবর্ণজয়ন্তী ও গণসঙ্গীত’ বিষয়ক আলোচনা পর্ব। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদ-এর সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহফুজা খানম, লোকশিল্পী সাইদুর রহমান বয়াতী, লেখক গবেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ কাহালী, বিশিষ্ট গীতিকার ফেরদৌস হোসেন ভূঁইয়া এবং উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন। এ পর্ব সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম।
এরপর এবারের জাতীয় গণসঙ্গীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে সনদ ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। এবারের প্রতিযোগিতায় ‘ক’ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রজ্ঞা তালুকদার, দ্বিতীয় হয়েছে সাফায়েত আলম চৌধুরী আর তৃতীয় হয়েছে নবনীতা ঘোষ শ্রেয়া। ‘খ’ বিভাগে প্রথম হয়েছে সাবরিনা জাহান শোভা, দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে জান্নাতুল ফেরদৌস এবং তৃতীয় হয়েছে ওয়াজিহা তাসনিম। ‘গ’ বিভাগে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে অরুণ চন্দ্র বর্মণ, দ্বিতীয় হয়েছে কমল ঘোষ এবং তৃতীয় স্থান পেয়েছে চন্দ্রিমা ভৌমিক রাত্রী। আর দলীয় অর্থাৎ ‘ঘ’ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নারায়ণগঞ্জের যোদ্ধা সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন, দ্বিতীয় হয়েছে উদীচী বগুড়া জেলা সংসদ আর তৃতীয় স্থান পেয়েছে উদীচী যশোর জেলা সংসদের শিল্পীরা।
আলোচনার পর ছিল জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের একক ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশনা। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রজ্ঞা তালুকদার, সাবরিনা জাহান শোভা, জুটন চন্দ্র মজুমদার, মায়েশা সুলতানা ঊর্বি, দিদারুল করিম। এছাড়া দলীয় সঙ্গীত নিয়ে মঞ্চে আসে মৌলভীবাজার উদীচী পরিচালিত ধ্রুবতারা ললিতকলা একাডেমি ও চারণ। ছিল ভারত থেকে আগত গণসঙ্গীত শিল্পী অসিম গিরি এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট গণসঙ্গীত শিল্পী ও এবারের উৎসবের আমন্ত্রিত অতিথি বিমল দে’র পরিবেশনা। এ পর্বটি সঞ্চালনায় ছিলেন মিজান সুমন ও সৈয়দা অনন্যা রহমান।
উৎসবের তৃতীয় ও শেষ দিন অর্থাৎ ৩০ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে এবারের উৎসবের আমন্ত্রিত অতিথি, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট গণসঙ্গীত শিল্পী বিমল দে’র একক সঙ্গীত আয়োজন।