আইএসের যৌনদাসী থেকে জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৩:৫৩
২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ইরাকের নাদিয়া মুরাদকে। তারপর তাকে একাধিকবার যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়। সেই নাদিয়াই এখন সুযোগ পেলেন জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হয়ে কাজ করার।
নাদিয়া মূলত যৌন হেনস্থার শিকার মহিলা এবং মানুষ পাচার সংক্রান্ত বিভাগ নিয়েই কাজ করবেন।
আইএস জঙ্গিরা তাকে বাধ্য করে দীর্ঘ সময় ধরে তাদের যৌনদাসী হয়ে থাকতে। ২০১৪ সালে যখন ইরাকের বাড়ি থেকে নাদিয়াকে অপহরণ করে জঙ্গিরা নিয়ে যায় সেই সময়ে তিনি তার চোখের সামনেই খুন হতে দেখেন তার বাবা এবং ভাইকে। তিন মাস পরে সেই নরক থেকে কোন রকমে জান নিয়ে পালাতে সক্ষম হন নাদিয়া।
যেহেতু নাদিয়া ইয়াজাদি সম্প্রদায়ের, তাই তাকে আরও অনেক বেশি অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি একাধিকবার জঙ্গিদের হাতে গণধর্ষণের শিকার হন তিনি।
২০১৫ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো তার বীভৎস অভিজ্ঞতার কথা সকলের সামনে তুলে ধরেন নাদিয়া। তিনি তার ভাষণে বলেন, আইএস জঙ্গিরা কিভাবে মহিলাদের উপরে অত্যাচার করত তা ধারণাও করা যায় না। শারীরিকভাবে নির্যাতনের পরে মহিলাদের ধর্ষণ করার আগে প্রার্থনা করতে বাধ্য করতো জঙ্গিরা।
নাদিয়া তার ব্লগে লিখেন, ‘এখন আমি যৌন হেনস্থার শিকার মহিলা এবং শিশুদের নিয়ে কাজ করব। এই সব অত্যাচারের সম্মুখীন যারা হয়েছে তাদের সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনাটাই আমার এখন একমাত্র লক্ষ্য। জাতিসংঘে কাজ করার সুবাদে এই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়াটা আমার জন্য সহজ হবে।’