১০০ প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে দাঁড়ালো পূর্ণিমা ফাউন্ডেশন

প্রকাশ : ০৫ মে ২০২০, ১৭:১৪

জাগরণীয়া ডেস্ক

প্রাণঘাতি করোনার মারণছোবলে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। কর্মহীন হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। বিপদ আরো বেড়েছে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর মানুষদের। দিন এনে দিন খাওয়া এসব মানুষ ঘরবন্দী থাকায় পড়েছেন অর্থসংকটে। অর্ধাহারে অনাহারে কাটছে দিন। যারা বিভিন্ন শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় ভুগছেন তারাও যাপন করছেন মানবেতর জীবন। এমন পরিস্থিতিতে ১০০ টি প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে পূর্ণিমা ফাউন্ডেশন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অনাহারী প্রতিবন্ধী মানুষগুলোর কাছে খাদ্যসামগ্রি পৌছে দিয়েছে সংগঠনটি।

৫ মে, মঙ্গলবার, রাজধানীর মিরপুর ও শেওড়াপাড়ায় ১০০ টি প্রতিবন্ধী পরিবারের কাছে অন্তত ১০ দিনের খাবার পৌছে দিয়েছে পূর্ণিমা ফাউন্ডেশন।

বশির খান। দু চোখে আলো নেই জন্ম থেকেই। খাদ্যসামগ্রি পেয়ে ভারি খুশি তিনি। জানালেন, এই দুর্যোগসময় সময়ে উপার্জন বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি । কোনমতে এক দু বেলা খাবার জুটছে। এই খাবার পেয়ে অন্তত দশ দিন খাবার নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না।

আরেক শ্রবণ প্রতিবন্ধী মহিলা বেলা রাণী জানান, আমরা সমাজের অবহেলিত মানুষ। সরকারি ত্রাণ পেলেও তা ফুরিয়ে গেছে। তারপর না খেয়েও দিন কাটিয়েছি আমরা। সমাজের বিত্তবান মানুষের প্রতি আমার অনুরোধ, তারা যেন আমাদের প্রতি সদয় হন, এই দুর্যোগময় মুহুর্তে আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন।

পূর্ণিমা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক পূর্ণিমা রাণী শীল গণ মাধ্যমকে জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পূর্ণিমা ফাউন্ডেশন সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যানে কাজ করে আসছে।

পূর্ণিমা জানান, গেলো ৯ বছর ধরে আমরা নির্যাতিত নারী ও শিশুদের কল্যানে কাজ করছি। করোনার এই দুর্যোগময় সময়ে মানুষ খাদ্যসংকটে পড়েছে, ঘরবন্দী নিম্নবিত্ত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো হয়ে পড়েছে অসহায়। তাই আমাদের সংগঠন, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। খাবার তুলে দিচ্ছে অসহায় মানুষগুলোর মুখে।

প্রাণঘাতি এই মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণিমা ফাউন্ডেশনের খাদ্যসমাগ্রি বিতরণ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে বলে জানান পূর্ণিমা রাণী শীল। এ মহৎ কাজকে এগিয়ে নিতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সহযোগিতার আহবান জানান তিনি। এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন প্রথম আলোর ক্যামেরাপার্সন জাকারিয়া মৃধা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত