পাঠাও সার্ভিসে নারী
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৪০
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্রী রাবেয়া বশরি। সম্প্রতি চালক হিসেবে পাঠাওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আগে তিনি ছিলেন এর গ্রাহক।
রাবেয়া জানান, যাত্রাবাড়ী থেকে প্রতিদিন ধানমন্ডিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে যানজটে পড়ে অনেক সময় নষ্ট হতো তার। সেই সঙ্গে গণপরিবহনের ভোগান্তি তো ছিলই। এসব থেকে মুক্তি পেতে প্রথম দিকে পাঠাও সেবা নেন তিনি। কিছুদিন পর কিনে ফেলেন একটি স্কুটি। প্রতিদিন তিনি নিজে যাতায়াত করতেন। আবার স্বজন-বন্ধুদেরও পৌঁছে দিতেন এখানে- সেখানে। তারপর মাথায় আসে নিজের ও পড়াশোনার খরচ হিসেবে কিছু আয় করার বিষয়টি।
সমস্যার বিষয়ে রাবেয়া বশরি বলেন, নিজের সাহসটাই আসল এবং সেটাই প্রথম নিরাপত্তা। অনেকে বিদ্রূপ করতে পারেন, কিন্তু সেগুলোকে গুরুত্ব দিলে চলবে না। আর পরিবার ও বন্ধুরা পাশে থাকলে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়।
চালকের আসনে বসে নানা রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে বলেও জানালেন রাবেয়া। সুন্দর অভিজ্ঞতাই বেশি। তিক্ততা কিছু থাকলে সামলাতে হয় উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে।
পাঠাওয়ে কাজের নির্দিষ্ট সময় না থাকায় সুবিধা হয়েছে রাবেয়ার। নিজের পছন্দমতো সময় ও এলাকা বেছে নেন তিনি। রাবেয়া এখন পর্যন্ত যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, পল্টন, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজার, তেজগাঁও, বনানী ও গুলশানে যাতায়াত সীমিত রেখেছেন।
নারীবান্ধব পরিবেশের ঘাটতি এবং এ নিয়ে নানা সংশয়ের বিষয়েও সচেতন রাবেয়া জানান, প্রতিদিন নারীরা কর্মস্থলে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েন। অ্যাপভিত্তিক যাতায়াত সেবাগুলোতে তারা এখনও ততটা অভ্যস্ত হয়ে ওঠেননি। অপরিচিত পুরুষ চালকের সঙ্গে চলতে নিরাপত্তার বিষয়টা সবচেয়ে শুরুত্বপূর্ণ। কিছুটা অস্বস্তিও থাকে। তাই অনেক নারী গ্রাহকই এখন রাবেয়ার কাছ থেকে এই সেবা পেতে আগ্রহী। কিন্তু মূল সমস্যা সময় মেলানো। অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন যাতায়াতের এই সেবা নেওয়ার জন্য।
রাবেয়ার মতে, এখন বাইক চালালেও ভবিষ্যতে বাইক ট্রেনিং সেন্টার খোলার ইচ্ছা রাবেয়ার। এতে করে নারী যাতে এই পেশায় আসতে পারেন।
পাঠাওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুসেইন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, রাবেয়া বশরি খণ্ডকালীন হিসেবে আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন। তার পাশাপাশি আরও নারী এই কাজে এগিয়ে আসবেন, এটাই আমাদের কাম্য।