তিনটি ভাষায় প্রকাশিত হচ্ছে ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:১৪
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বইটি একই সঙ্গে তিনটি ভাষায় প্রকাশিত হচ্ছে।
ইংরেজী, হিন্দি ও জার্মান এই তিন ভাষায় বইটি প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে বইটির প্রকাশক ও আগামী প্রকাশনের স্বত্তাধিকারী ওসমান গণি জানান।
তিনি জানান বইটির ইংরেজী সংস্করণ আগামী প্রকাশনী প্রকাশ করবে। হিন্দি সংস্করণ কলকাতার একটি প্রকাশনা সংস্থা এবং জার্মানের একটি প্রকাশনা সংস্থা জামার্নী ভাষায় বইটি প্রকাশ করবে। ইংরেজী অনুবাদের কাজ চলছে এটি আগামী বইমেলায় প্রকাশ করা হবে। হিন্দি ও জার্মান ভাষায় অনুবাদ কাজের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
শেখ হাসিনার ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বইটি প্রথম বাংলা ভাষায় প্রকাশিত হয় ১৯৯৯ সালে কলকাতা বইমেলায়। সে বার কলকাতার বইমেলা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কলকাতার প্রকাশনা সংস্থা ‘সাহিত্যম প্রকাশনালয়’ মেলায় বইটি প্রকাশ করে।
আগামী প্রকাশনী থেকে শেখ হাসিনার এই বই বাংলাদেশ সংস্করণ প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অমর একুশের বইমেলায়। সেই থেকে বইটির ব্যাপক চাহিদার প্রেক্ষিতে সাতটি সংস্করণ হয়। সর্বশেষ সংস্করণ হয় ২০১৭ সালের বইমেলায়। ১১৪ পৃষ্ঠার বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। বইটিতে পাঁচটি অধ্যায় রয়েছে।
প্রথম অধ্যায়ে ভূমিকা লিখেছেন ড. রফিকুল ইসলাম ও প্রস্তাবনা লিখেছেন পার্থ ঘোষ। দ্বিতীয় অধ্যায়ে রয়েছে, শেখ মুজিব আমার পিতা, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সেনাবাহিনী, ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। তৃর্তীয় অধ্যায়ে রয়েছে, স্মৃতির দখিণ দুয়ার-এক, স্মৃতির দখিণ দুয়ার -দুই ও স্মৃতি বড় মধুর বড় বেদনার। তৃতীয় অধ্যায়ে ড. আব্দুল মতিন চৌধুরী, বেগম জাহানারা ইমাম ও নূর হোসেনের তিনটি লেখা রয়েছে। শেষ অধ্যায়টির শিরোনাম হচ্ছে ‘একানব্বইয়ের ডায়েরি।
ড. রফিকুল ইসলাম বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, ‘শেখ হাসিনা রচিত বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত নির্বাচিত দশটি প্রবন্ধের বই ‘শেখ মুজিব আমার পিতা।’ দেশে ও দেশের বাইরে বাংলা ভাষাভাষি মানুষ বইটি পড়ে ইতিহাসের নানা দিক জানতে পারবেন। একজন গভীর সংবেদনশীল লেখিকার অন্তর্দৃষ্টি ও সচেতন মন-মানসিকতার পরিচয় মেলে বইতে। যা গতানুগতিক রাজনৈতিক সাহিত্যে সচরাচর পাওয়া যায় না। জটিল ও কুটিল এবং সংঘাতময় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করেও ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশেও লেখায় বিরতি দেননি, তাতে বোঝা যায় তিনি একজন জাত লেখক এবং যে কোন পরিবেশেই তাঁর না লিখে উপায় নেই।’
পার্থ ঘোষ প্রস্তাবনায় লিখেছেন ‘এশিয়ার রাজনীতিবিদদের অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট যদি হয় আবেগপ্রবণতা ও সংবেদনশীলতা-শস্য-শ্যামল-নদীমাতৃক, বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করা শেখ হাসিনার মধ্যেও এ সব গুণ আছে অতিরিক্ত মাত্রায়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাই তো তিনি হয়ে ওঠেন প্রতিবাদী। দুঃখী মানুষের জন্য তাঁর প্রাণ কাঁদে সেটাই বোধহয় স্বাভাবিক। রাজনৈতিক জীবনের হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও তিনি লিখছেন ।’
বইয়ের প্রকাশক ওসমান গণি ‘প্রকাশকের কথা’য় লিখেছেন ‘গ্রন্থটি মূলত শেখ হাসিনা লিখিত স্মৃতিকথামূলক সংক্ষিপ্ত আত্মজৈবনিক রচনা। যাতে স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের অনেক অনুল্লিখিত দিক এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস।’