সমাবেশে জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রশ্ন

‘শ্রীলংকা পারলে বাংলাদেশ পারবে না কেন’?

প্রকাশ : ৩০ মে ২০১৬, ০৩:০১

জাগরণীয়া ডেস্ক

‘২০০৬ সালে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভারতের সাথে চুক্তি হয়েছিল শ্রীলংকার। মানুষ ও প্রকৃতির উপর এর ফলাফল বিবেচনা করে এবং ঐ দেশের মানুষের দাবির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে শ্রীলংকার সরকার কয়েকদিন আগে এই প্রকল্প বাতিল করেছে। শ্রীলংকা পারলে, সুন্দরবন ও জনমতের কথা বিবেচনা করে এনটিপিসি-ওরিয়ন-এর কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বাতিল করতে বাংলাদেশ পারবে না কেন’?

দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের অংশ হিসাবে ২৯ মে বিকেল ৪.৩০মি.-এ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এর সভাপতিত্বে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশীদ ফিরোজ, আজিজুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, মানস নন্দী, ফিরোজ আহমেদ, আকবর খান, শহীদুল ইসলাম সবুজ, রজত হুদা, মাহিনউদ্দিন চৌধুরী, শামসুল আলম, মাসুদ খান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সরকার বাঁশখালীতে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার না করে, যারা খুন, ভূমিগ্রাস, জালিয়াতির প্রতিবাদ করছে তাদের গ্রেফতার নির্যাতন করছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।

বক্তারা বাঁশখালীতে নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, দরিদ্র গ্রামবাসীকে হত্যার পর আবারও জোরজুলুম করে জনগণের মুখ বন্ধ করে কোম্পানীর যথেচ্ছাচারের পথ প্রশস্ত করার উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হবে না। সারা দেশের মানুষ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাঁশখালীর মানুষ প্রতিবাদ করছে জালিয়াতি বিরুদ্ধে, প্রশ্ন তুলেছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা নিয়ে। বক্তারা, গুলি-হামলা মামলা বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ পথে সমস্যা সমাধানের দাবি করেন। এজন্য বক্তারা বাঁশখালী হত্যাকান্ড তদন্ত করে বিচরের আওতায় আনা, গ্রেফতার-নির্যাতন বন্ধ ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান দিয়ে পরিবেশ সমীক্ষা করা এবং জনসম্মতি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত প্রকল্পে সকল কাজ বন্ধের দাবি জানান।
 
বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের বহু বিকল্প আছে কিন্তু সুন্দরবনের কোন বিকল্প নেই। যা দেশকে বিপন্ন করে তা উন্নয়ন নয়। বক্তারা বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে জাতীয় কমিটির ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান। 

সমাবেশ থেকে ৫ জুন পরিবেশ দিবসে প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসী প্রকল্প বাতিলের এবং ১৪ জুন মাগুরছড়া দিবসে, মাগুরছড়া-টেংরাটিলার ক্ষতিপূরণ আদায়-এর দাবি তুলে ধরে দেশব্যাপী সভা সমাবেশ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। 

একই দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় জাতীয় কমিটির উদ্যোগে সভা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত