শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার
১৬ গাড়ির মধ্যে দুটি জমা দিল বিশ্বব্যাংক
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:২৬
তদন্ত শুরুর পর দুটি গাড়ি শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
২০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সকালে বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা এসে টয়োটার একটি আরএভি-ফোর এসইউভি এবং একটি সেডান জমা দিয়ে যান।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান জানান, দুটি গাড়ি জমা দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হল, তারা শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করেছে। এখন আদালতের মাধ্যমে গাড়িগুলোর বিষয়ে ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে বলে জানান মহাপরিচালক। বাকি ১৪টি গাড়ির বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংক কী পদক্ষেপ নেয়, সেজন্যও নজরদারি অব্যাহত রাখা হবে।
শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের আনা ১৬টি গাড়ির বিষয়ে জানতে চেয়ে গত বুধবার বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরকে একটি চিঠি পাঠানো হয় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়- গাড়িগুলো কারা ব্যবহার করতেন, তারা এখন কোথায় আছেন এবং গাড়িগুলোর সর্বশেষ অবস্থা কী। উত্তর দেওয়ার জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয় বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা কার্যালয়কে।
সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মিশন হেডের সুপারিশ থাকতে হয় এবং এনবিআর ওই গাড়ির বিপরীতে একটি পাসবুক দেয়। ওই ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে চলে গেলে তার আগে তাকে গাড়ি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ও ওই পাস বইয়ের তথ্য কাস্টমসের নিবন্ধন খাতায় লিপিবদ্ধ করে যেতে হয়।
তিনি জানান, প্রিভিলেজড পারসনস রুলসের আওতায় আনা গাড়ি হস্তান্তর করার তিনটি বৈধ উপায় আছে। ওই গাড়ি নিলামে বিক্রি করা যেতে পারে, অন্য কোনো প্রিভিলেজড পার্সনকে হস্তান্তর করা যেতে পারে, অথবা সব ধরণের কর ও শুল্ক দিয়ে সাধারণ ব্যক্তির যানবাহন হিসেবে ব্যবহারের জন্য কাওকে হস্তান্তর করা যেতে পারে।
ওই সুবিধার আওতায় ২০০৬, ২০০৭ ও ২০০৯ সালে বিশ্ব ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নামে বিভিন্ন মডেলের ১৬টি গাড়ি আনা হয়। সেই কর্মকর্তারা দেশত্যাগ করলেও কাস্টমসের কাছে তাদের গাড়ির বিষয়ে কোনো তথ্য জমা পড়েনি বলে মইনুল খানের তথ্য।
কেউ যদি আইন অমান্য করে গাড়িগুলো তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে থাকেন এবং সেই অর্থ যদি তিনি দেশের বাইরে নিয়ে গিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে শুল্ক আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হতে পারে বলে সেদিন জানিয়েছিলেন মইনুল খান।