কারাগারে পাঠানো হলো বিমানের দুই কর্মীকে
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:১৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ফ্লাইটে ত্রুটির ঘটনার মামলায় বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনসের দুই কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনসের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ওই দুই আসামি ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করেন। মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনায় ঢাকা বিমানবন্দর থানায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রকৌশল বিভাগের তিন কর্মকর্তাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এদের মধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত ২৬ নভেম্বর একে বিমানের নিজস্ব হ্যাঙ্গারে নেওয়া হয়। পরদিন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উড়োজাহাজটি হাঙ্গেরির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলে উড়োজাহাজের বাঁ পাশের ইঞ্জিন অয়েলের ‘বি-নাট’ ঢিলা পাওয়া যায়। এতে ইঞ্জিনে তেলের চাপ ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। দুর্ঘটনা এড়াতে তুর্কমেনিস্তানে বিমানটির জরুরি অবতরণ করা হয়। এ ঘটনায় বিমান কর্তৃপক্ষের তদন্তের বরাত দিয়ে এজাহারে বলা হয়েছে, ‘বি-নাট’ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঢিলা হওয়ার সম্ভাবনা কম। এজাহারে মামলার বাদী আশঙ্কা করেছেন, উড়োজাহাজটির রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নাটটি ঢিলা করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। ত্রুটি মেরামত শেষে প্রায় ৪ ঘণ্টা পর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে উড়োজাহাজটি।
ওই উড়োজাহাজের ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাংকের একটি নাট ঢিলে হওয়ার পেছনে নাশকতা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে ২৮ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের কমিটি করে বিমান মন্ত্রণালয়।
ঘটনা তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আরও দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই দুই কমিটি এরই মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। এই ঘটনায় এ নিয়ে দুই দফায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নয়জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।