নারী শ্রমিকদের ৪ মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি বাধ্যতামূলক
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৮:৪৫
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার জানিয়েছেন, শিল্প কারখানা বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নারী শ্রমিকদের ৪ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান এর ব্যতিক্রম ঘটাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্স অব বাংলাদেশ (সিবিসিবি) সেন্টারে 'নারী শ্রমিক সম্মেলন' এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
“আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট ও জাতীয় নারী শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র” যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলন এ সভাপতিত্ব করেন নারী শ্রমিক নেত্রী হুমাইরা বেগম।
আরও বক্তব্য রাখেন, নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বেসির প্রতিনিধি মাশফিকা জামান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়িন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, অক্সফ্যাম ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি এম বি আখতার প্রমুখ।
শ্রম সচিব মিকাইল শিপার বলেন, প্রত্যেক কারখানার মালিকদের নির্দেশ দেওয়া আছে নারী শ্রমিকদের ৪ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি দিতে হবে। ছুটি শুরু হওয়ার আগের মাসে যে হারে বেতন পেতেন, সেই হারেই ছুটিভোগকালীন সময়ে বেতন দিতে হবে। এটা আইনদ্বারা বিধিবদ্ধ। এর ব্যতিক্রম দেখলেই শ্রম মন্ত্রণালয়কে জানানোর অনুরোধ করেন সচিব।
নারী শ্রমিক সম্মেলনে মোহাম্মদপুর এলাকার শত শত নারী শ্রমিকরা সম-কাজের, সম-মুজুরি দাবি করে স্লোগান দিতে থাকেন। একই সঙ্গে নারী শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ চান তারা।
“আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট'র” পক্ষ থেকে বলা হয়, খুব কম সংখ্যক শ্রমিক রয়েছেন যারা ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত আছেন এবং ট্রেড ইউনিয়ন সব শ্রমিকদের জন্য কী ধরণের সুরক্ষা দিতে পারে সেই তথ্যও মাঠ পর্যায়ে অপ্রতুল। এছাড়া অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে আয়মূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত নারীদের ট্রেড ইউনিয়নে যুক্ত হবার সুযোগ খুবই কমই দেখা যায়। যারা যুক্ত আছেন তাদের বেশিরভাগই গার্মেন্ট শ্রমিক, ইডিজেড কিংবা কারখানার শ্রমিক।
সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, নারী শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার অবস্থান থাকবে সংগঠনটি। ঘর-বাহির, পরিবার-কর্মক্ষেত্র, প্রতিটি স্থান হোক নারীর জন্য নিরাপদ ও নির্যাতনমুক্ত, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে নারী পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা হোক।