বিজিবিকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ‘সীমান্ত ব্যাংক’
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০১:১৯
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের জন্য চালু হওয়া সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাহিনীটির সদস্যদের যোগ্য সন্তানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিজিবি সদরদপ্তরে সীমান্ত ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে তিনি এ কথা জানান।
তিনি জানান, এই ব্যাংকে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষের কর্মসংস্থান ও জনকল্যাণ সম্ভব হবে। এই ব্যাংকে নিয়োগে বিজিবি সদস্যদের যোগ্য সন্তানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যেন বেকার সমস্যার সমাধান হয়। আর এই ব্যাংক থেকে যেন সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া যায়, সে ব্যবস্থাও করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী সীমান্তরক্ষী বাহিনীটির অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে। ঠিক যে মুহূর্তে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলা চালিয়েছিলো পাকিস্তানি হানাদাররা। ঠিক সেই মুহূর্তে জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণায় আমাদের সীমান্তরক্ষীরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অসংখ্য যোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক বেদনাদায়ক ঘটনায় আমাদের এ বাহিনীর অনেক কর্মকর্তা শহীদ হয়েছেন। আজকের দিনে তাদের আমি স্মরণ করছি। যে সময় যে দায়িত্বই দেওয়া হয়েছে, এ বাহিনী তার ওপর অর্পিত সব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে। আমরা অগ্নিসন্ত্রাস থেকে যে দেশের মানুষকে বাঁচাতে পেরেছি, সেক্ষেত্রেও আমাদের এ বাহিনী ভূমিকা রেখেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বিজিবি ও ভারতের বিএসফের মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি হওয়ায় এখন সীমান্তে নিহত হওয়ার ঘটনাও কমে এসেছে।’
তিনি বিজিবিকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে সরকারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন- ২০১০ পাস করেছি। এতে এ বাহিনী আরও শক্তিশালী হয়েছে –গতিশীল হয়েছে। নারীরা কোনো ক্ষেত্রে এখন পিছিয়ে নেই। বিজিবিতেও নারী সদস্য অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’
প্রতিটি বাহিনীকেই যুগোপযোগী ও শক্তিশালী করতে তার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ‘নৌ বাহিনী এবং বিমান বাহিনীর জন্য যৌথ একটি ব্যাংক চালু করা হবে।’