নোয়াখালীতে দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০১৬, ১৮:৪৮

জাগরণীয়া ডেস্ক

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও চাটখিল উপজেলায় দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কোম্পানিগঞ্জের ঘটনায়আটক করা হয়েছে দুজনকে। 

ওই দুই গৃহবধূ হলেন কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) শারমিন আক্তার ও চাটখিল উপজেলার শারমিন আক্তার শানু।  

কোম্পানিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল হক জানান, শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউপির একটি ডোবা থেকে শারমিন আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের নাকে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে। 

রবিউল আরও জানান, নিহত শারমিনের বাড়ি কবিরহাট থানার কালামুন্সি বাজারের ‘চৌকিদার বাড়ি’। স্বামী মনির হোসেনের সঙ্গে চট্টগ্রামে বসবাস করতেন তিনি। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) স্বামীর সাথে চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী এসেছিলেন  শারমিন। পথে রহস্যজনক কারণে ফেনীর মহিপালে নেমে শারমিনকে একা বাড়িতে পাঠিয়ে দেন মনির। পরে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের একটি ডোবা থেকে শারমিন এর লাশ উদ্ধার করা হয়।   

বর্তমানে পলাতক রয়েছেন মনির হোসেন। এ ঘটনায় নিহত শারমীনের পরিবার কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

এ দিকে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম উদ্দিন জানান, শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে চাটখিল উপজেলায় শারমিন আক্তার শানু (২৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বামী আলমগীরের সঙ্গে রাশিপুরের ‘পাটোয়ারী বাড়ি’তে বসবাস করতেন শারমিন।   

ওসি আরও জানান, ঘরের ভেতরে মেঝেতে শানুর লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। শারমিন এর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।    

নিহত শানুর স্বামী আলমগীর হোসেন এলাকায় বখাটে হিসেবে স্বীকৃত। শানুকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতেন তিনি।

এই ঘটনায় এখনো কেউ আটক হয়নি। তবে শানুর মৃত্যুর জন্য স্বামী ও শাশুড়িকে দায়ী করেছে তাঁর পরিবার।     

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত