নাসিরনগরের ঘটনায় আটক ৩৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় হিন্দু মন্দির, বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৩৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন। 

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত নাসিরনগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শফিকুল ইসলাম এবং ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সাখাওয়াত হোসেন।

গত ৩০ অক্টোবর (রবিবার) নাসিরনগরে হিন্দু মন্দির ও ঘরবাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এর পাঁচদিন পর গত বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকটি হিন্দু বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ঘটায়। এ ঘটনার পর শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সারাদিন এলাকার হিন্দুদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। তবে হঠাৎ করে এ আগুনের কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। আর অতিরিক্ত পুলিশি নিরাপত্তা থাকার পরও কীভাবে এ ঘটনা ঘটল, এ নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে।

এদিকে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ। এ মানববন্ধন থেকে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। 

মানববন্ধনের বিষয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের একাংশ বলছে, এ মানববন্ধন না করার জন্য হিন্দু নেতাদের বলেছিলেন স্থানীয় সাংসদ ও মন্ত্রী ছায়েদুল হক। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাতে নাসিরনগর ডাকবাংলোয় হিন্দু নেতাদের সঙ্গে মন্ত্রীর দুই ঘণ্টা বৈঠকও হয়। এর মধ্যেই  রাত তিনটায় হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রসঙ্গত, ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ এনে গত রোববার নাসিরনগরে অন্তত ১৫টি মন্দিরে হামলা এবং শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।